নদিয়া: যাদবপুরের মেন হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে মৃত পড়ুয়ার নদিয়ার বাড়িতে শুক্রবার গিয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। সেখানে পরিবারের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন শুভেন্দু। ফের একবার তুললেন আই-প্যাক তত্ত্ব। শুভেন্দুর দাবি, দীপ নামে যে পড়ুয়া গ্রেফতার হয়েছে যাদবপুরের ঘটনায়, সেই যুবকের দাদা আই-প্যাকের একজন সিনিয়র কর্মী। বিরোধী দলনেতার দাবি, ওই যুবকের দাদাকে পুলিশ গ্রেফতার করতে চেয়েছিল, কিন্তু রাজ্য প্রশাসনের তরফে পুলিশকে আটকানো হয়েছে।
ঠিক কী বললেন বিরোধী দলনেতা? এদিন নদিয়ার বগুলায় মৃত পড়ুয়ার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে শুভেন্দু বললেন, ‘দীপ বলে একজন গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁর দাদা, নাম রাজশেখর… তিনি আইপ্যাকের একজন সিনিয়র কর্মী। তদন্তকারী অফিসাররা তাঁকে গ্রেফতার করতে চেয়েছিলেন। এডিসিপি (ক্রাইম) পদে শঙ্খশুভ্র বলে কেউ একজন আছেন, তিনি আগে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে কাজ করতেন। তিনি সরাসরি তদন্তকারী অফিসারকে এবং যাদবপুরের ঘটনায় যে টিম কাজ করছে… তাঁদের বলেছেন দীপের দাদাকে ডাকা যাবে না। কারণ, উনি আই-প্যাকের কর্মী।’
এদিন মৃত পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর আদালতের নজরদারি যাদবপুরের ঘটনার তদন্তের দাবি করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। তাঁর বক্তব্য, রাজ্য সরকারের নজরদারিতে যদি তদন্ত হয়, তাতে বিশেষ কোনও লাভ হবে না। সেই কারণেই আদালতের নজরদারিতে গোটা তদন্ত চালানোর দাবি তোলেন তিনি। সেই সময়েই যাদবপুরের ঘটনায় ধৃত এক যুবকের দাদার আই-প্যাক যোগের কথা তুলে বিস্ফোরক দাবি করেন বিরোধী দলনেতা।
প্রসঙ্গত, যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনীতির কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়ে গিয়েছে। শাসক-বিরোধী কোনও পক্ষই পিছিয়ে থাকছে না। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ যেমন আবার বলেছেন, ‘বামেদের বন্ধুর ভূমিকা পালন করছে বিজেপি। এখানে বাম-অতিবাম-উগ্রবাম.. যাঁরা এই মৃত্যুর সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের থেকে নজর ঘুরিয়ে দিয়ে বামেদের বন্ধুর ভূমিকা পালন করতে চাইছে বিজেপি।’ কুণাল ঘোষের দাবি, তৃণমূল চাইছে যাদবপুরের পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় ন্যায় বিচার হোক।