নদিয়া: কংগ্রেস সমর্থকের পরিবারের উপর হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গুলিতে জখম হয়েছেন ওই পরিবারের মহিলা-শিশু সহ পনেরো জন। সোমবার রাত্রিবেলা ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার হরনগর পঞ্চায়েতের গোবিপুর এলাকায়। আহত পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছে কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই ওই এলাকায় কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। এরপর গতকাল রাত্রিবেলা ওই এলাকার কংগ্রেস কর্মী সেলিম শেখের বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে। জানা গিয়েছে, রাত্রিবেলা সেলিম ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঘুমোচ্ছিলেন। সেই সময় স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য বাদশাহ মণ্ডলের নেতৃত্বে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। শুধু তাই নয়, চলে এলোপাথাড়ি গুলিও। এর ফলে ওই পরিবারের শিশু ও মহিলা সহ মোট ১৫ জন গুরুতর জখম হয়েছে। প্রতিবেশীদেরা তাঁদের উদ্ধার করে বেথুয়াডহরী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে। এদের মধ্যে এগারো জনের জখম গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসক তাদের শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল স্থানান্তর করেন।
এই ঘটনার খবর পাওয়ার পরই ক্ষুব্ধ হন কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী। দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার দাবি নিয়ে কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে ধরনায় বসেন তিনি। বলেন, “ভোটের আগে থেকে পরে আমাদের নেতাদের প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে দলে টানার চেষ্টা করছে তৃণমূল। বোর্ড গঠনের পরেও আমাদের কর্মীদের উপর নৃশংসভাবে অত্যাচার শুরু করেছে শাসকদলের নেতারা।” কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, এই কাজে তৃণমূলকে মদত দিচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “পুলিশ যদি দোষীদের অবিলম্বে শাস্তির ব্যবস্থা না করে তাহলে আমরা উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করব।” যদিও, এই বিষয়ে তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।