বসিরহাট: দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। প্রেমিক-প্রেমিকা, দু’জনেরই যাতায়াত ছিল একে অপরের বাড়িতে। বাড়ির লোকজনও জানতো প্রেমের কথা। এরইমধ্যে মাস তিনেক আগে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন প্রেমিকা। সূত্রের খবর, তারপর থেকেই প্রেমিককে লাগাতার বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে প্রেমিকা। কথাবার্তাও চলছিল দুই বাড়ির মধ্যে। এরইমধ্যে প্রেমিকের বাড়িতে থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল প্রেমিকার। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য বসিরহাটের (Basirhat) মাটিয়া থানার শ্রীনগর-মাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঁতুলতলা এলাকায়।
সূত্রের খবর, মাটিয়া থানার তেঁতুলতলা এলাকার বছর বত্রিশের রাইমা খাতুনের সঙ্গে প্রতিবেশী যুবক হাবিব মল্লিকের দীর্ঘদিন থেকে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। মাস তিনেক আগে জানা যায় ওই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন রাইমা। তারপর থেকেই দ্রুত বিয়ে করার জন্য হাবিকে জেরাজুরি শুরু করেন তিনি। এরইমধ্যে এদিন সকালে হাবিবের বাড়ি থেকে রাইমার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। হাবিবের পরিবারের সদস্যদের দাবি, শুক্রবার রাতে বাড়িতে কেউ ছিল না। সেই সময় বাড়িতে এসে রান্না ঘরে ঢুকে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রাইমা। যদিও হাবিবের পরিবারের যুক্তি শুনতে নারাজ রাইমার বাড়ির লোকজন। তাঁদের দাবি, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের মেয়েকে। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবিও তুলেছে তাঁরা।
এদিন তাঁর দেহ উদ্ধার হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর যায় মাটিয়া থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। কী কারণে ওই যুবতীর মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে মনে করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই প্রেমিকের বাড়ির দুই সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। ঘটনার পর থেকে পলাতক হাবিব। জোরকদমে তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।