বাগদা: পরিচারিকার কাজে বাংলাদেশ থেকে লুকিয়ে এ দেশে এসেছিল তিন নাবালিকা। তেমনটাই দাবি পুলিশের। যে গাড়িটি করে তারা এখানে এসেছিল সেই গাড়ির ড্রাইভার একটি বাণিজ্যিক ভবনে তিনজনকে রাখার বন্দোবস্ত করেন। কিন্তু বিপদ যে এভাবে তাদের পিছু পিছু আসবে কে ভেবেছিল! ওই পোলট্রি ফার্মের ভিতরেই এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে চার যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পকসো আইনে রুজু হয়েছে মামলা।
উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানা এলাকার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, গত শুক্রবার বাংলাদেশি তিন নাবালিকা দালাল ধরে চোরাপথে ভারতে প্রবেশ করে। তেমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। তাদের উদ্দেশ্য ছিল এ রাজ্যে পরিচারিকার কাজ করবে। অভিযোগ, কলকাতা নিয়ে যাওয়ার নাম করে এক ব্যক্তি তাদের গাড়িতে করে বাগদায় নিয়ে আসে। তাদের থাকার বন্দ্যোবস্ত করে দেওয়া হয় একটি বাণিজ্যিক ভবনে।
সেখানেই গভীর রাত্রে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের চালানোর অভিযোগ ওঠে ওই ড্রাইভার সহ তিন যুবকের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে তিন নাবালিকাই ওইখান থেকে পার্শ্ববর্তী গ্রামে এক বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয় । গ্রামের সাধারণ মানুষ জানতেই বাগদা থানার পুলিশের কাছে খবর যায়। পুলিশ এসে তিনি নাবালিকাকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পকসো আইনে মামলা রুজু করে। তদন্ত করতেই গ্রেফতার হয় চার অভিযুক্ত। শনিবার তাদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।
এক গ্রামবাসী মহিলা বলেন, “ওরা এসে বলল আমাদের ধরে এনেছে। বারবার বলছিল আমরা বাংলাদেশ থেকে এসেছি। স্যররা জিজ্ঞাসা করলেন যে জায়গায় আনা হয়েছে সেই জায়গা চিনতে পারবে? বলল পারব না। তবে ওদের সঙ্গে কী হয়েছে বলতে পারব না।”