নৈহাটি: দূরপাল্লার ট্রেনে গাঁজা পাচারের অভিনব ছক। শরীরের সঙ্গে গাঁজার প্যাকেট বেঁধে যাত্রী সেজে ট্রেনে উঠে একস্থান থেকে অন্যত্র ডেলিভারি করে দেওয়ার চেষ্টা করছিল পাচারকারীরা। কিন্তু রেল পুলিশের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল। গোপন সূত্র থেকে পাওয়া সেই তথ্যের ভিত্তিতে এক বিশেষ অভিযানে গাঁজা-সহ দুই যুবককে পাকড়াও করে নৈহাটি জিআরপি থানার পুলিশ। ডাউন তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস যখন শনিবার নৈহাটি স্টেশনে এসে পৌঁছয়, তখনই ওই দুই যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলেন রেল পুলিশের কর্মীরা। ধৃতদের নাম সাত্তার শেখ ও আবুল কাশেম।
প্রাথমিকভাবে রেল পুলিশ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, শরীরে গাঁজা লুকিয়ে পাচারের চেষ্টা করছিল এই দুই যুবক। কোচবিহার থেকে উন্নত মানের গাঁজা নিয়ে আসা হচ্ছিল পাচারের জন্য। ধৃতদের পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশ জানতে পেরেছে, নৈহাটি স্টেশনে নেমে কালীনারায়ণপুরের দিকে যাওয়ার কথা ছিল ওই দুই যুবকের। এদিন নৈহাটি স্টেশনে যখন ট্রেন পৌঁছয়, তখন এই দুই যুবকের চালচলন দেখে সন্দেহ হয় পুলিশকর্মীদের। তাদের আটকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই কথাবার্তায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তাতে আরও সন্দেহ বাড়ে পুলিশের। এরপর তল্লাশি চালাতেই বেরিয়ে আসে প্রচুর পরিমাণে গাঁজা।
প্রাথমিকভাবে রেল পুলিশের অনুমান, এর পিছনে বড় কোনও গাঁজা পাচারের র্যাকেট থাকতে পারে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস, বালিয়া এক্সপ্রেস, লালগোলা কিংবা গৌড় এক্সপ্রেসের মতো শিয়ালদহ মেন শাখা দিয়ে চলাচল করা দূরপাল্লার ট্রেনগুলিকে ব্যবহার করার ছক করেছিল পাচারকারীরা। গোপন সূত্র মারফত, সেই খবর রেল পুলিশের কাছে আগে থেকেই ছিল এবং এই র্যাকেটের পর্দাফাঁস করতে ওৎ পেতে ছিলেন গোয়েন্দা বিভাগের অফিসাররা। তবে এই পাচারের কারবারের নেপথ্যে আরও বড় কোনও চক্র থাকতে পারে বলে সন্দেহ তদন্তকারী অফিসারদের। এই পাচারচক্রের মূল পান্ডা কারা, তা খোঁজার চেষ্টা করছেন পুলিশকর্মীরা।