ব্যারাকপুর: রাজ্যে যে সব নেতা-মন্ত্রী গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কারও কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ টাকা, কারও অ্যাকাউন্টে মিলেছে কোটি কোটি টাকার হদিশ। কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি ও সিবিআই-এর আতস কাচের নীচে যখন সেই সব টাকার হিসেব আসছে, তখন বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন দলেরই নেতা অর্জুন সিং। সাংসদের দাবি, টাকা থাকলে তা খরচ করে ফেলতে হবে, নাহলে তা নিয়ে যাবে ইডি বা সিবিআই। টিটাগড়ে এক অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে দলের কর্মীদের এমনই বার্তা দিলেন তিনি। অর্জুন কি তাহলে ফের বেসুরো? সাংসদের বক্তব্যের পর এমনই প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ব্যারাকপুরের সাংসদ বলেন, ‘টাকা অনেক থাকলে কিছু খরচ করা দরকার। রেখে দিলে তো ইডি আর সিবিআই নিয়ে যাবে। শুধু উপার্জন করলেই হবে না, বিতরণও করতে হবে।’ গত বছর প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৫০ কোটির বেশি নগদ টাকা। কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তে বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের অ্যাকাউন্টেও মিলেছে কোটি কোটি টাকা। দলের নেতা অর্জুন সিং-এর এমন মন্তব্য কি দলকেই আরও অস্বস্তিতে ফেলবে না? এই প্রশ্নই উঠছে রাজনৈতিক মহলে।
অর্জুনের মন্তব্য প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “উনি বোধ হয় দলের মধ্যে একটু অস্থিরতা অনুভব করছেন। পাশাপাশি পরবর্তী নির্বাচনে টিকিট পাবেন কি না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছেন। তাই হয়ত এই ধরনের কথাবার্তা বলে ফেলছেন। শুভেন্দুর দাবি, যে চুক্তিতে তাঁকে তৃণমূলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তা হয়নি সঠিকভাবে মানা হয়নি।”
উল্লেখ্য, এর আগে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অর্জুন সিং। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের গাড়িতে হামলার ঘটনা বা ব্যারাকপুরে খুনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা প্রসঙ্গে সাংসদ বলেছিলেন, ‘এই গাফিলতি আমাদের লজ্জা।’
পাশাপাশি ডেঙ্গি নিয়ে ব্যারাকপুর পুরসভা ও টীটাগড় পুরসভার কাজ নিয়েও অসন্তোষের সুর শোনা গিয়েছে অর্জুনের গলায়। তাঁর দাবি, পুরসভা যা কাজ করছে, তার থেকে আরও ভাল কাজ করতে হবে।