আসানসোল: রাতে খাওয়া-দাওয়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি। সকালে বাড়ির পাশেই উদ্ধার হল ১৭ বছরের কিশোরের ক্ষতবিক্ষত দেহ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্য়াপক চাঞ্চল্য আসানসোলের (Asansol) জামুরিয়ায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের (Police) অনুমান ঘটনায় হাত রয়েছে বন্ধুদের। ইতিমধ্যেই দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। মৃত আনন্দ কেশরী দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। দু’জনেই আনন্দের সহপাঠী বলে জানা যাচ্ছে। এদের মধ্যে একজন ইতিমধ্য়েই পুলিশি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে জানা যাচ্ছে।
এদিন সকালে জামুরিয়ার নন্ডি শ্মশান পুকুরের কাছ থেকে ওই কিশোরের দেহ উদ্ধার হয়। জায়গাটি আবার জামুড়িয়া থানা থেকে ৭০০- ৮০০ মিটারের মধ্যে। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাত ১০টা নগাদ বাড়ি থেকে বের হয় আনন্দ। কিন্তু বারোটা বেজে গেলেও বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে পুলিশ। কিন্তু, খোঁজ না মেলায় বাড়তে থাকে চিন্তা। শেষে রবিবার সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয় পুকুরের পাশের একটি মাঠে। স্থানীয় বাসিন্দারাই আনন্দের ক্ষতবিক্ষত দেহ দেখতে পেয়ে খবর দেয় পুলিশে। তবে কী কারণে খুন তা নিয়ে এখনও রয়েছে ধোঁয়াশা।
ঘটনায় মৃত কিশোরের মামা সঞ্জয় কুমার কেশরী বলেন, “ও দোকানে দোকানে নানা মুখরোচক খাবার দেয়। কাল রাতে বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করে বেরিয়ে যায়। বলে কোনও এক দোকানে কিছু জিনিস দিতে যাবে। কিন্তু, দোকানের কাজ মিটিয়ে বাজারে তিন-চারটে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়। তারপর সেখানেই আড্ডা দিচ্ছিল বলে শুনেছি। কিন্তু, আর বাড়ি ফেরেনি। রাতে আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করি। কিন্তু, খোঁজ পাওয়া যায়নি। সকালে তো ওর মৃতদেহ পাওয়া গেল। ওর মাথায়, হাতে, বুকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ তো দু’জনকে ধরেছে। একজন খুনের কথা স্বীকারও করেছে।”