আসানসোল: ‘ছেলে পরোপকারী। প্রথম বর্ষের ওই পড়াকে সাহায্য করতেই গিয়েছিল। পুলিশকে জানিয়েছিল ঘটনার কথা। আর সেই পুলিশই তাকে গ্রেফতার করে নিল।’ যাদবপুর কাণ্ডে এমনই দাবি গ্রেফতার হওয়া আসিফ আনসারির মা ও বাবার। ছেলের গ্রেফতারির পর বাবা মহম্মদ আফজল ও মা ইসরত পরভিন বারংবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। মূর্ছা যাচ্ছেন বারেবারে। তাঁদের বিশ্বাস বড় ছেলে এমন কাজ করতে পারেন না।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার গ্রেফতার হয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া মহম্মদ আসিফ আনসারি। তাঁর বাড়ি উত্তর আসানসোলের রেলপার কেটি রোডে। বাবা আফজাল আনসারি কাপড়ের ব্যবসা রয়েছে। মা পারভিন গৃহবধূ। হৃদরোগে আক্রান্ত।আসিফের পরিবারের আর্থিক অবস্থা দুর্বল। টালির চাল। আফজল আনসারি তিন ছেলে এক মেয়ে। আসিফ বড় ছেলে। ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার। চতুর্থ বর্ষ। তাঁকে নিয়েই ছিল পরিবারের যত স্বপ্ন। ধৃতের বাবা ও মা জানান, ঘটনার দুদিন পর আসানসোলের বাড়িতে এসেছিল তাঁদের ছেলে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফোন করে বারবার ডাকায় সে দু দিন পরেই চলে যায়। সে বাবা মা কে জানিয়েছে এই ঘটনায় সে যুক্ত নয়।
আসিফ আনসারি বাবা-মা বলেন,”ঘটনার কয়েকদিন আগে থেকেই ওই পড়ুয়া যখন ভয়ভীত হয়ে গিয়েছিল তখন সাহায্য করেছিল আমাদের ছেলে। ওই ছেলেটিকে বন্ধুর মত সাহায্য করে। আসিফের বাবা বলেন, “মঙ্গলবার রাত ১০-১১ টার মধ্যে ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওতখন পড়াশোনা করছিল। রাত দেড়টা নাগাদ আমরা জানতে পারে ছেলে আসিফ সহ কয়েকজনকে পুলিশ নিয়ে গিয়েছে।”
আনসারি পরিবারের দাবি তারা আর্থিকভাবে দুর্বল। আফজাল তার তিনটি ছেলেকে কষ্ট করে পড়াশোনা করাচ্ছে। একমাত্র মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এখন ভেবেই উঠতে পারছি না কী করবেন।