রানিগঞ্জ: বৃষ্টিতে যেমন পাহাড়ে ধস নামে ঠিক সেই মতোই খনি এলাকায় নামল ধস। ফেটে গেল বাড়ি। ঘটনাস্থল রানিগঞ্জের বল্লভপুর পঞ্চায়েত একাকার ষষ্ঠী তলা। সেখানে ফের নামল ধস। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় তৈরি হয়েছে গভীর গর্ত। প্রায় ৩ ফুট বাই তিন ফুট ব্যাসার্ধ ও ৬ ফুট গভীর গর্ত নেমেছে। ফলে এলাকায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক।
যদিও, বল্লভপুরের এই এলাকাটি প্রথম থেকে ধস কবলিত বলেই চিহ্নিত। কিন্তু পুনর্বাসন না মেলায় তাদের সেখানেই প্রাণের ঝুঁকি থাকতে হচ্ছে। খবর পাওয়ার পর পুলিশ প্রশাসন এবং ইসিএল কর্তৃপক্ষ জায়গাটিকে বিপদজনক সাইনবোর্ড লাগিয়ে ঘিরে ফেলেছে। কিন্তু এত সবের মধ্যে বিশালাকার গর্ত থেকে আর ধস নামবে না তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।
ধস নামার ঘটনায় নেমেছে রাজনীতির রং। সিপিএম-এর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে ধস পুনর্বাসন নিয়ে গড়িমসি করছে রাজ্য সরকার। একাকায় ধস নামার পর দুটো মাত্র সিভিক পুলিশ মসেখানে মোতায়েন করে দায় সেরেছে প্রশাসন।সম্প্রতি যাঁরা প্রধান হয়েছেন বা উপপ্রধান হয়েছেন কিংবা বিডিওরা কেউ এলাকায় যাননি। অস্থায়ী পুনর্বাসনেরও ব্যবস্থা করেননি।
তবে দায়িত্ব পাওয়া প্রধান মীনা ধীবরের বলেছেন, তিনি খবর পেয়ে গিয়েছিলেন। ব্লক নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। ব্লক নেতৃত্ব পুলিশকে বিডিওকে জানিয়েছে। অপরদিকে, ইসিএল কর্তৃপক্ষর নজরে আনা হয়েছে গোটা বিষয়টি। এই এলাকার পাশেই রয়েছে অমৃতনগর কোলিয়ারি। সেখানকার ম্যানেজারকেও খবর দেওয়া হয়েছে। তারা ইতিমধ্যেই এলাকাটি পরিদর্শন করে গিয়েছেন। কর্তৃপক্ষের দাবি ব্রিটিশ কোল আমলে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ভুগর্ভে কয়লা কাটার জন্যই এই অবস্থা।
উল্লেখ্য, গত বছর জানুয়ারি মাসেই যখন জোশীমঠে ধস নামে ঠিক সেই সময়ই রানিগঞ্জের বল্লভপুরের এই এলাকাটিতেও ধস নেমেছিল। মাটির ফুঁড়ে বের হচ্ছিল গল গল করে ধোঁয়া। তখন ইসিএল কর্তৃপক্ষ ধস প্রবণ এলাকাটিকে ভরাট করে দেয়। আবারও সেই একই ঘটনা ঘটলো। সেই সময় মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিলেন, রানিগঞ্জও হতে পারে জোশীমঠ। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন রানিগঞ্জে বিপর্যয় ঘটলে ২০-৩০ হাজার মানুষের বিপদ হতে পারে।