চন্দ্রকোনা: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে দলবদলের খবর। অন্য দলের টিকিটে জয়ী প্রার্থীকে দলে যোগদান করিয়ে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের চেষ্টা চলছে। রবিবার সিপিএমের জয়ী সদস্য যোগ দিলেন তৃণমূলে। এর জেরে পঞ্চায়েত বোর্ড গেল তৃণমূলের দখলে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার ২ নম্বর ব্লকের বান্দিপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে ঘটেছে এই ঘটনা। তবে সিপিএমের দাবি, শাসকদলের সন্ত্রাসের ভয়েই তাঁদের সদস্য তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য হলেন।
বান্দিপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে ১৫টি আসন। এর মধ্যে তৃণমূল জিতেছে ৭টি আসনে, বিজেপিও জিতেছে ৭টি আসনে। একটি আসন গিয়েছিল সিপিএমের দখলে। ওই পঞ্চায়েতের আটঘরা বুথ থেকে জিতেছিলেন সিপিএম প্রার্থী তরুণ সামন্ত। রবিবার তরুণ-সহ ৪০ জন সিপিএম কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূলে। চন্দ্রকোনার তৃণমূল বিধায়ক অরূপ ধাড়া তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন তরুণের হাতে। এর জেরে ওই পঞ্চায়েত দখল সহজ হল তৃণমূলের।
এই গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন ঘিরে কয়েক দিন আগেই তৃণমূল এবং বিজেপি মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। এর জেরে স্থগিত হয়ে যায় বোর্ড গঠন। সিপিএমের সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ওই পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হল ঘাসফুল শিবির।
এই বোর্ড গঠন প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক অরূপ ধাড়া বলেছেন, “ফলপ্রকাশের দিনই বলেছিলাম সমস্ত পঞ্চায়েত বোর্ড তৃণমূল একক ভাবে গঠন করবে। সিপিএম থেকে স্বেচ্ছায় উনি যোগদান করলেন। ওই পঞ্চায়েতে আমরা বোর্ড গঠন করব।”
যদিও সিপিএম নেতা সুস্মিত পাল এই যোগদানের প্রসঙ্গে বলেছেন, “আমরা দলগত ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েতে না বিজেপি না তৃণমূলের হাত ধরব। ১১ তারিখ বোর্ড গঠনে আমাদের ওই জয়ী প্রার্থী অনুপস্থিত ছিল। আজ তিনি তৃণমূলে গেলেন। কারণ রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের সংস্কৃতি ভয় দেখিয়ে চাপ দিয়ে দলে যোগ দিতে বাধ্য করা।” যদিএ এই অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল বিধায়ক বলেছেন, “সন্ত্রাস ছাড়া বিরোধীদের আর কোনও বক্তব্য নেই। তৃণমূল সন্ত্রাস করলে বিরোধীরা প্রার্থী দিয়ে জিততে পারত না।”