Shiladitya Chowdhury: সেই ‘মাওবাদী’ শিলাদিত্যর সঙ্গে দেখা শুভেন্দুর, বাসের জানালা থেকে কী বললেন বিরোধী দলনেতাকে?

Gaya Dandapat | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jun 25, 2023 | 8:12 PM

Bengal Panchayat Election: ঝাড়গ্রামের শিলাদিত্য চৌধুরী। ২০১২ সালে বিনপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের জনসভায় প্রশ্ন তুলেছিলেন সারের দাম নিয়ে। এরপরই তাঁকে মাওবাদী তকমা দেওয়া হয়। হাজতবাস করতে হয়। এখন শিলাদিত্য বাসের কনডাক্টর।

Shiladitya Chowdhury: সেই মাওবাদী শিলাদিত্যর সঙ্গে দেখা শুভেন্দুর, বাসের জানালা থেকে কী বললেন বিরোধী দলনেতাকে?
শিলাদিত্য হাত মেলাচ্ছেন শুভেন্দুর সঙ্গে।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

মেদিনীপুর: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বলেছিলেন ‘মাওবাদী’। এরপর দীর্ঘদিন জেলও খাটেন। এখনও মামলা চলছে। সেই শিলাদিত্য চৌধুরী (Shiladitya Chowdhury) এবার সাহায্য চাইলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। রবিবার মেদিনীপুরের ভীমপুরে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে মিছিল করছিলেন। সেই সময় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে পড়া এক যাত্রীবোঝাই বাসের জানালা থেকে উঁকি মারেন এক ব্যক্তি। ডাকেন ‘শুভেন্দুদা’কে। এরপর নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন, “দাদা আমি শিলাদিত্য।” মিছিলের ভিড় থেকেই হাত বাড়িয়ে দেন শুভেন্দু, বাসের জানালা থেকে হাত বাড়ান শিলাদিত্যও। ঝাড়গ্রামের সেই শিলাদিত্য, ২০১২ সালের ৮ অগস্ট মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় যিনি সারের দাম নিয়ে প্রশ্ন করায় মাওবাদী তকমা জুটেছিল কপালে। সঙ্গে হাজতবাস, সামাজিক অপমান। সেই শিলাদিত্য এত বছর পর আবার জনসমক্ষে।

এখন শিলাদিত্য চৌধুরী বাসের কন্ডাক্টর হিসাবে কাজ করেন। সঙ্গে চাষের কাজও চলে। শিলাদিত্য বলেন, পুরনো মামলা নিয়ে এদিন শুভেন্দুর সঙ্গে কথাও বলেছেন। তাঁর কথায়, “আজ বাস দাঁড়িয়েছিল। আমি তো বাসেই ছিলাম। শুভেন্দুবাবুর মিছিল যাচ্ছিল। আমিই নিজে বললাম দাদা আমি শিলাদিত্য। উনি হাত মেলালেন। ওই কেসটার ব্যাপারে কথা বললাম। তারপর তো মিছিল চলে গেল।”

শিলাদিত্য চৌধুরী।

শিলাদিত্য চান না বর্তমান সরকার আর মসনদে থাকুক। বরং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসা শোনা গেল তাঁর মুখে। তিনি বলেন, “সারের দাম নিয়ে সরব হওয়ায় জেল খাটলাম, মামলা এখনও চলছে। এলাকার মানুষ যা উত্তর দেবেন সেটাই রায়। ২০১২ সালের ৮ অগস্ট মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছিলাম, সারের দাম এত বেশি কেন, ধানের দাম এত কম কেন? সেই কেস এখনও চলছে। আমি তো চাইব এই সরকার যেন না থাকে পশ্চিমবাংলায়। যত কাজ হচ্ছে কেন্দ্র করছে, আর উনি বলছেন উনি করছেন। জল, রাস্তার সব টাকা কেন্দ্র থেকে আসে। বিনা পয়সায় চাল দিচ্ছে কেন্দ্র। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় মানুষকে ভাঁওতা দিচ্ছে। মানুষের উপরই ছেড়ে দিলাম সবটা।”

Next Article