পূর্ব বর্ধমান: পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ ঘিরে এখনও চাপানউতর জিইয়ে রয়েছে আউশগ্রামের সোমাইপুরে। রবিবার খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে নিয়ে গ্রামে ঢুকে আক্রান্ত হয় পুলিশ। আউশগ্রাম থানার আইসি আবদুল রব খান ও সেকেণ্ড অফিসার এসআই উত্তম মণ্ডলকে রীতিমতো মারধর করার অভিযোগ ওঠে। হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাঁদের। ঘটনার পর দু’দিন কেটে গেলেও এখনও শুনশান গ্রাম। এলাকা কার্যত পুরুষশূন্য। পাড়ার মহিলারাও মুখ খুলছেন না। বহু বাড়িতে সোমবার হাঁড়ি চড়েনি। বাড়ি ফাঁকা, উঠোনে গবাদি পশু ঘুরছে।
সোমাইপুরের এক মহিলার নখে সংক্রমণ হয়েছিল। গত মঙ্গলবার তিনি গ্রামেরই হাতুড়ে চিকিৎসককে দেখাতে যান। কিন্তু এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। বুধবার রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরই ওই মহিলার ছেলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। রবিবার তাঁকে সস্ত্রীক ডেকেও পাঠায় পুলিশ। পুলিশি প্রশ্নের মুখে ওই যুবক স্বীকার করেন, তিনিই মাকে মেরেছেন। মায়ের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথাও জানান। কোদাল দিয়ে মাকে মারেন বলেও জানান তিনি। এরপর গ্রামে আসে পুলিশ। কোদালটি উদ্ধারই ছিল পুলিশের লক্ষ্য।
এদিকে ওই যুবক গ্রামে ঢুকে স্থানীয় ভাষায় এলাকার লোকজনকে কিছু বার্তা দেন বলে অভিযোগ। এরপরই পিলপিল করে গ্রামে লোকেরা বেরিয়ে আসে। অভিযোগ, আইসি ও তদন্তকারী অফিসারকে মারধর শুরু করে। যদিও স্থানীয়দের একাংশের দাবি, আগেই যদি পুলিশ এসে ওই যুবকের আসল চেহারা জানাত তাহলে এমনটা হতো না।
ওই মহিলারা জানান, নিজেদের ভাষায় ওই যুবক গ্রামের লোকজনকে বলেছিলেন, তাঁকে মারধর করেছে পুলিশ। চাপ দিয়ে মাকে খুনের কথা বলিয়ে নিয়েছে। তাতেই গ্রামের লোকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। রবিবারের পর থেকে দফায় দফায় জেলাপুলিশের আধিকারিকরা বৈঠক করেছেন। এদিকে মাকে খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত যুবকও পলাতক। পূর্ব বর্ধমান জেলার ডিএসপি ডিএনটি বীরেন্দ্র কুমার পাঠক জানান, ইতিমধ্যেই পুলিশের উপর হামলায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।