পূর্ব বর্ধমান: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পরই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিরাপত্তা নিয়ে তৎপর হচ্ছে। ক্যাম্পাস ও হস্টেলে নিরাপত্তার স্বার্থে সিসিটিভি বসানোর উদ্যোগ নিচ্ছে তারা। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত হস্টেলে ক্যামেরা বসাচ্ছে তারা। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবর্ষের ছাত্রছাত্রীদের জন্য সম্পূর্ণ আলাদাভাবে হস্টেল বন্টনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
কম বেশি প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলেই প্রাক্তনী কিংবা বহিরাগতদের থাকার অভিযোগ ওঠে। সেদিকে কড়া নজর দিতে চায় কর্তৃপক্ষ। বহিরাগত রুখতে হস্টেলের ঘরগুলির নাম্বারিং করা হবে। কাদের নামে রুম বরাদ্দ হচ্ছে তার তালিকা তৈরি করবে হস্টেল কর্তৃপক্ষ। হস্টেল বোর্ডে সেই তালিকা তো থাকবেই। একইসঙ্গে সুপার, হস্টেল স্টুয়ার্ড, নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে নামের তালিকা দেওয়া থাকবে। কড়াভাবে রেজিস্টার মেনে চলার দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। আবাসিকদের বাইরে কে কখন হস্টেলে ঢুকছে, বের হচ্ছে সেই হিসাব নথিভুক্ত করা হবে রেজিস্টার বুকে।
গত ১৪ অগস্ট বৈঠকে বসেছিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এখানকার যে হস্টেলগুলি আছে, তাতে যেন কোনওরকম সমস্যা না ঘটে তার জন্য বৈঠক হয়। দুই ডিন, রেজিস্ট্রার, অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে বসেন সহ উপাচার্য আশিস পাণিগ্রাহী। ছিলেন হস্টেল সুপার ও স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অফিসাররাও।
সহ উপাচার্য বলেন, “আমরা হস্টেলগুলি থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ পাইনি। সেরকম ঘটনার খবরও আমাদের কানে আসেনি। বহিরাগতরা থাকে বলে লিখিত কোনও রিপোর্ট নেই। তবে যাদবপুরের ঘটনার পর আরও ভালভাবে হস্টেল পরিচালনায় আমরা বৈঠক করি। আলোচনা হয়েছে সিসিটিভি নিয়ে। অন্তত হস্টেলের প্রবেশ বেরোনোর পথে যদি তা বসানো যায়। আর প্রথম বর্ষের ছাত্রদের আলাদা হস্টেলে রাখার জন্য চিন্তাভাবনা করছি। অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি ও অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড নিয়ে আগামী সোমবার আবারও বৈঠকে বসব।”