বর্ধমান: পঞ্চায়েতের পর পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন ঘিরেও সামনে এল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বোর্ড গঠনের সময় খোদ বিধায়কের সঙ্গে সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে গেলেন তৃণমূলেরই ১১ জন জয়ী প্রার্থী। বাকি ১৩ জন সদস্য মিলে গঠন করলেন বোর্ড। এমন দৃশ্য দেখা গেল বর্ধমানের রায়নায়। জানা গিয়েছে, ২৪ জন সদস্য তৃণমূলের হলেও, তার মধ্যেই এমন ভাগাভাগি! একদল বিধায়কের অনুগামী আর একদল ব্লক তৃণমূল সভাপতির অনুগামী বলেই দাবি করা হচ্ছে।
অভিযোগ, দলের তরফে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির নাম বাছাই করা হলেও, ব্লক তৃণমূল সভাপতি বামদেব মণ্ডল আরও একটি নাম প্রস্তাব করেন। আর তাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন রায়নার বিধায়ক শম্পা ধাড়া ও তাঁর অনুগামীরা। ১১ জনকে বাদ দিয়েই হয় পুরো প্রক্রিয়া। ১৩ জন সদস্যই সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচন করেন। শুধু তাই নয় ওই ১১ জন সদস্য পদত্যাগ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিধায়ক শম্পা ধাড়া।
রায়না ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট ২৪টি আসন রয়েছে। সবকটিতেই জয়ী হয় তৃণমূল। বিধায়ক শম্পা ধাড়ার অভিযোগ, দলের নির্দেশ না মেনেই সভাপতি পদে অন্য একজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, পঞ্চায়েত সমিতির ২ জন সদস্যকে অপহরণের অভিযোগও উঠেছে ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে বামদেব মণ্ডলের দাবি, বোর্ড গঠনের সময় দ্বিতীয় নাম প্রস্তাব করা হতে নাকি তিনিই বিরোধিতা করেন সবার আগে। বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, উনি তো দলের কোনও নিয়মই মানেন না। পুরনো কর্মীদের গুরুত্ব না দিয়ে তিনি সিপিএমের সঙ্গে আঁতাত করে চলেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।