তমলুক: যাদবপুরে পড়ুয়া মৃত্যুর প্রতিবাদে নেমেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। কিন্তু সেখানেও উঠে এল গোষ্ঠী কোন্দল। সকালে এক ও বিকেলে আর এক গোষ্ঠীর মিছিল। যদিও, কোন্দলের কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি।
সম্প্রতি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের জেরে এক প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি।এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। মঙ্গলবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কাঁথি শহরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে শহরের ধিক্কার ও প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলে অগ্রভাগের নেতৃত্ব দেন কাঁথি ১,২ ও ৩ ব্লকের ছাত্রছাত্রীরা। মিছিলে ছাত্রনেতা আবেদ আলি খান, কাঁথি পুরসভা পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্না, কাঁথি পুরসভার কাউন্সিলর অতনু গিরি, সহ একাধিক ছাত্র নেতৃত্ব সহ তৃণমূল নেতৃত্বরা। শতাধিক ছাত্রছাএীরা মিছিলে উপস্থিত হন।
একই দাবিতে বিকালেও প্রতিবাদ ও ধিক্কার মিছিলে আয়োজন করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের সামনে থেকে ধিক্কার মিছিল ও প্রতিবাদ শুরু হয়। মিছিলের গতি কমিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে যায়। মিছিলে অগ্রভাগে নেতৃত্ব দেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলার ছাত্র পরিষদের সভাপতি শতদল বেরা ও তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি প্রসেনজিৎ দে সহ তৃণমূল ছাত্র নেতৃত্বরা। বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা।
তমলুক সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি প্রসেনজিৎ দে বলেন, “সাদা বাড়ি থেকে আমাদের যখন মিছিল আসছিল উঁকি মেরে কয়েকজন দেখছিল।” হুঁশিয়ারি সুরে বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হল, এরপরে কলেজে ছাত্র পরিষদের নির্বাচন হবে। একটাও আসনে দখল করতে পারবে না। যদি দখল করতে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।” যদিও ওই গোষ্ঠীকোন্দল কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি শতদল বেরা। তিনি বলেন, ” যাদবপুরের নিন্দনীয় ঘটনা নিয়ে ব্লক ও টাউনে থেকে সমস্ত ছাত্র পরিষদের ধিক্কার ও প্রতিবাদ মিছিল করার জন্য নির্দেশ দিয়ে ছিলাম। তার জন্য সকালবেলা এই কর্মসূচি পালন হয়েছিল। এখন আমরা ২৮ আগস্ট প্রস্তুতি হিসেবে মিছিল করলাম ও যাদবপুর কাণ্ডের ধিক্কার মিছিল করলাম। সাদা বাড়িতে কারা থাকে আমাদের থেকে আপনারা বেশি জানেন? এই মিছিল করলাম। মিছিলের পর হাইকোর্টে গিয়ে জানাবে আমাদের হেনস্থা করা হয়েছে বলে জানাবে। শান্তিপূর্ণ মিছিল হয়েছে। কোর্টের নির্দেশ কোনভাবে অমান্য করিনি আমরা।”
তীব্র কটাক্ষ করেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জানান, “তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জর্জরিত। সকালে একটা গোষ্ঠীর মিছিল বিকালে একটা গোষ্ঠী। ধিক্কার ও প্রতিবাদ মিছিল এদের মূল লক্ষ্য নয়, এদের মূল লক্ষ্য হল কে গোষ্ঠী বেশি শক্তিশালী। কাঠমানি তোলার জন্যই দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই শুরু হয়েছে।”