তমলুক: আগে সিপিএম হেঁটেছিল। এখন সেই পথেই হাঁটল রাজ্যের শাসকদল। বিজেপি যোগে বহিষ্কৃত হলে তৃণমূল নেতা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তমলুকের বিষ্ণুবাড় এলাকায় বোর্ড গঠনে বিজেপি-কে সহায়তা করতে গিয়েই বিপত্তি। যার জেরে বহিষ্কৃত করা হল সহ-সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা অশোক গোস্বামীকে।
কী ঘটেছে?
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের বিষ্ণুবাড় ২ অঞ্চলের বোর্ড গঠনে বোর্ড গঠনে ১৪ টি আসনে গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোট হয়েছিল। এখানে বিজেপি পাঁচটি, তৃণমূল তিনটি, সিপিএম তিনটি আসন পায়। অপরদিকে, সিপিএম সমর্থিত নির্দল তিনটি আসনে জয় লাভ করে। তিনটি দল একত্রিত হয়ে বিজেপিকে সমর্থন করে বোর্ড গঠন করে।বোর্ড গঠনের পর প্রধান এবং উপ প্রধান বিজেপি থেকেই নির্বাচিত হয়। বোর্ড গঠনে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলায় তৃণমূল। তার জেরেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ওই তৃণমূল নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
মঙ্গলবার দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে সে কথা জানিয়ে দেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, “অশোক গোস্বামী বর্ষীয়ান নেতৃত্ব। উনি দল বিরোধী কাজ করেছেন। তাই আমরা ঠিক করেছি এই ভোটে যারা অশুভ আঁতাতকে সমর্থন করেছে তাঁদের হয় বহিষ্কার বা সাসপেন্ড করা হবে।” তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সম্পাদক দেবকুমার দাস বলেন, “নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমরা বলেছিলাম মানুষের পঞ্চায়েত গড়ব। সেই পঞ্চায়েতে কোন দল জিতেছে বড় কথা নয়। মানুষের পঞ্চায়েতে আস্থাশীল হয়েই তৃণমূলের লোকজন আমাদের সাহায্য করেছে। আর তৃণমূল কোনও ভদ্র মানুষের দল নয়। আর এই বহিষ্কার আপেক্ষিক। আর অশোকবাবুর মনে হয় আনন্দে দিন কাটবে। উনি সজ্জন ব্যক্তি।”
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর বোর্ড গঠন ঘিরে একেবারে জগাখিচুড়ি অবস্থা হয়েছে জেলাগুলিতে।কোথাও উঠেছে বিজেপির সমর্থনে তৃণমূলের বোর্ড গঠনের অভিযোগ। আবার কোথাও উঠেছে বামেদের সমর্থনে বিজেপির বোর্ড গঠনের অভিযোগ। তাই বিড়ম্বনা এড়াতে কড়া অবস্থানের পথে হাঁটে লাল শিবির। বোর্ড গঠনে বিজেপিকে সমর্থন করেছে যে সকল কর্মীরা তাদেরকে শোকজ করেছে দল।