পূর্ব মেদিনীপুর: বঙ্গ বিজেপির অন্দরে এই মুহূর্তে সবথেকে বড় কাঁটা বোধহয় অন্তর্কলহ। দলের কর্মীরাই বলেন, বঙ্গ ব্রিগেডের প্রথম সারিতে যাঁরা, তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য সবথেকে বেশি। আদি-নব্যের লড়াইয়ে জেরবার দল। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বারবারই বার্তা দেন, এসব দূরে ঠেলে একসঙ্গে সকলকে নিয়ে কাজ করতে হবে। এবার বঙ্গ ব্রিগেডের অন্যতম প্রধান মুখ শুভেন্দু অধিকারীকেও প্রকাশ্য মঞ্চে সে কথাই বলতে শোনা গেল। সোমবার নিমতৌড়ি স্মৃতিসৌধের মাঠে বিজেপির এক কর্মসূচিতে অংশ নেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই তিনি বলেন, “আমরা সবাই বিজেপির অনুগামী। কেউ কারও ব্যক্তিগত অনুগামী নই। এটা মাথায় রেখে সবাইকে চলতে হবে।”
বারবারই দেখা গিয়েছে, বঙ্গ বিজেপির কোন্দলে অনুঘটকের ভূমিকা নেয় দলে কে পুরনো, কে নতুন। অর্থাৎ কারা বিজেপির জন্মলগ্ন থেকে, আর কারা-ই বা অন্য দল থেকে বেরিয়ে এসে পদ্মপতাকার নীচে ঠাঁই নিয়েছে, তা নিয়েই বেঁধে যায় কোন্দল। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “কে আগে এসেছে, কে পরে এসেছে, সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হচ্ছে পারফর্মান্স। আগের বিজেপি, এখনকার বিজেপি এক নয়। জো জিতা ওহি সিকন্দর।” এ কথার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে নিজের উদাহরণও টেনে আনেন শুভেন্দু। বলেন, “আমি নন্দীগ্রামের বিধায়ক। নন্দীগ্রামে ১৭টি গ্রামপঞ্চায়েতে ১১টিতে এবার বিজেপির প্রধান হয়েছেন। দু’টো পঞ্চায়েত সমিতিও বিজেপির দখলে। যা আমি করতে পেরেছি।”
যদিও এ প্রসঙ্গে রাজ্যের কারা মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, “এটা একেবারেই বিজেপির সংগঠনের ব্যাপার। এ নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। তবে বিজেপির অন্দরে আদি-নব্য নিয়ে নিশ্চিতভাবে একটা দ্বন্দ্ব আছে। আদিরা বঞ্চিত হলে ক্ষোভ বিক্ষোভ দেখাবে। সামনে লোকসভা ভোট। সেটা প্রশমিত করারই চেষ্টা করছে।”