দিঘা: ভোজন রসিক বাঙালির প্রিয় মাছ ইলিশ।ড়া দামে ইলিশ কিনে রসনা তৃপ্তিতে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠা বোধ করে না ভোজন রসিক বাঙালি। কিন্তু এরপরও ইলিশের সেই স্বাদ পাচ্ছে না বাঙালি। তার পিছনে যথেষ্ঠ কারণ রয়েছে। আর অন্য়তম কারণ দেদার খোকা ইলিশ ধরার প্রবণতা। তবে বাংলাদেশের মতো এবার এ রাজ্যও খোকা ইলিশ ধরা আটকাতে পদক্ষেপ সরকারের। ব্যান পিরিয়ড ৬০-৯০ দিন করার ভাবনা। ভাল মানের ইলিশ নিয়ে কালচার ও সংরক্ষণ শুরু।
রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব বলেন, “আমরা ঠিক মতো সংরক্ষণ করতে পারছি না। মাছ ডিম পারতে ফরাক্কা পর্যন্ত চলে যায়। সেই সময় বড় ডিম মাছ ধরেন মৎস্যজীবীরা। সেটাকে আটকাতে। মাদার মাছ চলে গেলে ছোট মাছ পাব কী ভাবে? ছোট মাছ ধরা যাবে না। আইন থাকলেও কেউ মানে না। আমরা সচেতন করেছি মানুষকে। তাও যদি সচেতন না হয় এখন যতটুকু মাছ পাচ্ছি পরে তাও পাব না।
রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ কিন্তু পার্থক্য একটাই আকৃতির!
কিন্তু কেন দিন দিন সাইজ ও ইলিশের স্বাদ উধাও তা জানার চেষ্টা করা হলে উঠে এল নানান তথ্য।
আসলে, ইলিশের স্বাদ প্রধানত নির্ভর করে ইলিশটিকে কোথা থেকে ধরা হচ্ছে তার উপর। প্রজননের জন্য ইলিশ মিঠে জলে আসলে তখন তার স্বাদ সবথেকে ভাল হয়।
বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ ইলিশ মাছ ধরা হয় নদী ও সমুদ্রের মোহনায় বা অগভীর সমুদ্রে। ফলে প্রজননের জন্য সমুদ্র থেকে নদীতে আসার আগেই ধরা পড়ছে ইলিশ মাছ। ফলে ইলিশের শরীরে তৈরি হয় না ফ্যাটি অ্যাসিড। এছাড়াও দূষণের প্রভাব পড়েছে যার ফলে ইলিশ আগের তুলনায় স্বাদ হারাচ্ছে বলেই মত।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক এলাকায় খোকা ইলিশের শিকার চলছে দেদার। যা বার বার মৎস্য দফতরকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দিঘা মোহনা মৎস্যজীবী সংগঠন।