পূর্ব মেদিনীপুর: রাজ্য রাজনীতিতে অন্যতম হাইভোল্টেজ জেলা পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলায় মোট ২৫টি পঞ্চায়েত সমিতি রয়েছে। তার মধ্যে চারটি পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গড়ল বিজেপি। বাকি ২১টি পঞ্চায়েত সমিতিতেই ঘাসফুলের দাপট। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, কোন পঞ্চায়েত সমিতি কার দখলে গেল? তৃণমূলের মুখে হাসি ফুটেছে রামনগর-১, রামনগর-২, কাঁথি দেশপ্রাণ, কাঁথি-৩, খেজুরি-১, এগরা-১, পটাশপুর-১, পটাশপুর-২, ভগবানপুর-১, ভগবানপুর-২, চণ্ডীপুর, নন্দকুমার, তমলুক, পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, ময়না, মহিষাদল, সুতাহাটা এবং হলদিয়া। অন্যদিকে নন্দীগ্রাম-১ এবং নন্দীগ্রাম-২ উভয় পঞ্চায়েত সমিতিতেই বিজেপির বোর্ড গঠন হয়েছে। নন্দীগ্রামের দুই ব্লকে এই প্রথম সমিতির বোর্ড গঠন করল বিজেপি। এর পাশাপাশি কাঁথি- ১ ও শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতিতেও বোর্ড গঠন করেছে বিজেপি।
উল্লেখ্য, এদিন নন্দীগ্রামের দু’টি পঞ্চায়েত সমিতি নিজেদের দখলে রাখার পর আরও বেশি প্রত্যয়ী বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির নেতৃত্ব এক দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত সমিতি নন্দীগ্রামে কাজ করবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি। আগামী দিনে সেবা, সুশাসন ও উন্নয়নের লক্ষেই বিজেপির নেতৃত্বে এই পঞ্চায়েত সমিতিগুলি কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিন পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের সময় দুটি জায়গায় ভোটাভুটিতে ফলাফল সমান হয়ে যায়। নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতি এবং এগরা-২ পঞ্চায়েত সমিতি। এই দুটি জায়গাতেই ভোটাভুটিতে টাই হওয়ার ফলে টস করে ভাগ্য নির্ধারণ হয়। তাতে নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পেয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে এগরা-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে সভাপতি পেয়েছে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, এদিন খেজুরি-২ পঞ্চায়েত সমিতি ও শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠনের আগে কিছুটা উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। যদিও বড়সড় কোনও ঝামেলা এড়ানো গিয়েছে। মোটের উপর শান্তিপূর্ণভাবেই জেলার ২৫টি পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠনের পর্ব চলল। এরপর আগামী ১৬ অগস্ট পূর্ব মেদিনীপুরে জেলা পরিষদের বোর্ড গঠন রয়েছে।
এদিকে এদিনের পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন প্রসঙ্গ রাজ্যের মন্ত্রী তথা জেলার তৃণমূল নেতা অখিল গিরি বলছেন, ‘একুশটি পঞ্চায়েত সমিতিতেই সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমর্থন করেছেন। যে চারটি আসন হাতছাড়া হয়েছে, সেই বিষয়টিও নিশ্চিতভাবে সাংগঠনিক বৈঠকে পর্যালোচনা করা হবে।’