পূর্ব মেদিনীপুর: জল্পনা ছিল। তাকেই সত্যি করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি করা হল পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিককে। সহকারী সভাধিপতি হলেন সুহাসিনী কর। বস্তুত, শাসকদলের ক্ষেত্রে এই জেলায় বিধানসভা ভোট কেটেছে চাপের মধ্যে দিয়ে। ফলত ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে নজর ছিল বাড়তি। ২১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ২৫টি পঞ্চায়েত সমিতি মাথায় কে ? জেলা জুড়েই চলছে রাজনৈতিক সমীকরণ ও পাটি গণিতের শেষ মুহূর্তের কাটা ছেঁড়া।
সামনে ২৪ সালে রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। হিসেব বেশ কিছুটা কঠিন। তৃণমূল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত্রি ১১ টা মধ্যে দলীয় হুইপের চিঠি পৌঁছে যাওয়ার কথা জয়ী জেলা পরিষদ সদস্যদের কাছে। শেষ মুহূর্তে হিসেব কিছুটা বদলাচ্ছে বলে জেলার রাজনৈতিক মহল মনে করছে। প্রাধান্য দেওয়া হয় তাঁদের, যাঁরা কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে দলকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দিয়েছেন, অথবা অসম্ভব জায়গায় গিয়ে দলের ঝান্ডা পুঁতেছেন কিংবা পরাজয়ের মুখে গিয়েও বাজিমাত করেছেন! সেই বিদায়ী সভাধিপতিদেরই দেওয়া হতে পারে দায়িত্ব। আর এই তালিকায় নাম ছিল উত্তম বারিকের নাম।
অপরদিকে, দেশপ্রাণ ব্লক থেকে উঠে আসে তরুণ জানার নাম। যিনি নিজের রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করেছেন জেলায়। শুধু তাই নয়, জেলা পরিষদের আসনে রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি দলের নানা প্রতিকূলতাকে ছাপিয়ে পাশে থেকে লড়াই করেছেন। এমনকী, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পর সেই প্রতিকূল পরিবেশকে কাটিয়ে লড়াই করেছেন।
তালিকায় নাম রয়েছে হলদিয়া মহকুমা অভিষেক দাস ও চণ্ডীপুর থেকে জয়ী রবিন মণ্ডলের সহ একাধিক জনের। তবে দলের হুইপ চিঠি বুধবার নিমতৌড়ি স্মৃতি সৌধে দেওয়া হবে। এরপরই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় উত্তম বারিকই হবেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি।