পুরুলিয়া: একটা সময় ঝালদা পুরসভার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করছিলেন তিনি। সেই নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে রবিবারের বিকেলে হইচই ঝালদায়। প্রবল গুঞ্জন ছড়ায় ঝালদার পুরপ্রধান শীলা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। তাঁর যোগদান নিয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূলের দড়ি টানাটানি প্রথম থেকেই। কলকাতা হাইকোর্ট অবধি গড়ায় সেই মামলা। এবার সেই শীলার তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা। এমনও খবর ছড়ায়, কলকাতায় রয়েছেন তিনি। যদিও জেলা তৃণমূলের তরফে প্রথম থেকেই দাবি করা হয়, এরকম কোনও খবর তাদের কাছে নেই।
পরে অবশ্য শীলা চট্টোপাধ্যায়ের স্বামী কালীপদ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়। তিনি কলকাতায় রয়েছেন, সে কথা স্বীকার করে নেন। তবে দাবি করেন, এরসঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। পারিবারিক কাজে কলকাতায় গিয়েছেন। তৃণমূলে যোগদানের জল্পনাও উড়িয়ে দেন তিনি।
এ নিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, “এরকম কোনও তথ্য আমার কাছে নেই। শীলা চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলে যোগ দেবেন এমন কিছু হয়নি। তবে যদি কেউ যোগ দিতে চান তবে তাঁকে দলে স্বাগত।” অন্যদিকে জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতোর বক্তব্য, ঝালদা বিরোধী পুরসভা। তাই এই ঝালদা দখলে মরিয়া শাসকদল। কাউন্সিলররা কাজে বাধা পান, টাকা নিয়ে ঝামেলা করা হয়। আসলে বিরোধী পুরসভা কাজ করতে অক্ষম তা প্রমাণের চেষ্টা করতে চায় শাসকদল।
গত পুরভোটের পর থেকেই ঝালদা পুরসভা বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে। বোর্ডই গঠন হচ্ছিল না এই রাজনৈতিক টানাপোড়েনে। ১২ ওয়ার্ডের ঝালদায় পুরভোটে কংগ্রেস ও তৃণমূল ৫টি করে আসন জেতে। বাকি ২ আসন জেতে নির্দল। নির্দল কাউন্সিলর হন শীলা চট্টোপাধ্যায় ও সোমনাথ কর্মকার। এই দুই নির্দলের সমর্থন নিয়ে প্রথমে বোর্ডও গড়ে ফেলেছিল শাসকদল। তবে পরে সোমনাথ ও শীলা সে সমর্থন তুলে নেন। সোমনাথ কর্মকার কংগ্রেসে যোগও দেন। তবে শীলা প্রথম থেকেই নির্দলে থেকে ঝালদা পুরসভার ‘ফ্যাক্টর’ হয়েছিলেন। আবারও সেই কাউন্সিলরকে নিয়েই জল্পনা।