পুরুলিয়া: মদ খেয়ে বাড়ি ঢুকেই স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বচসা। ঝামেলা বাড়তে থাকলে নিজের শিশু পুত্র ও শিশু কন্যাকে বেদম প্রহার। ফাটল মাথা। রক্তে ভাসল গোটা বাড়ি। চিৎকার শুনে ছুটে এসে দুই শিশুকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা। নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। একজনকে বাঁচানো গেলেও আর একজনকে বাঁচানো যায়নি। মৃত্যু হয়েছে সাত বছরের শিশু কন্যা মধুমিতা মাহাতোর (Murder in Purulia)। ঘটনায় শোকের ছায়া গোটা এলাকায়।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে পুরুলিয়ার টামনা থানার ডিগশিলি গ্রামে। ঘটনার পর থেকেই ফেরার এলাকার বাসিন্দা প্রভাস মাহাতো। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, অশান্তি ছিল প্রভাসের বাড়িতে নিত্যদিনের ঘটনা। রোজই মদ খেয়ে এসে স্ত্রীকে পেটাতো প্রভাস। কিন্তু, শুক্রবার তা চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। কিন্তু, তাই বলে একেবারে নিজের সন্তানদের ও খুন করে ফেলবে তা ভাবতে পারছে না কেউই। স্ত্রীকে মারতে মারতেই আচমকা সন্তানদের উপরেও চড়াও হয় সে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে বেধড়ক মারধর।
স্ত্রী বাড়ির বাইরে এসে চিৎকার শুরু করে তা শুনেই ছুটে আসেন পাড়া-প্রতিবেশীরা। তাঁরাই রক্তাক্ত অবস্থায় দুই শিশুকে উদ্ধার করে পুরুলিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। যদিও বাঁচানো যায়নি শিশু কন্যাটিকে। তাঁর মাথায় গুরুতর চোট লেগেছে বলে জানা যাচ্ছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে শিশুটিও। এদিকে খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসে টামনা থানার পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকে আর খোঁজ মিলছে না প্রভাসের। তাঁর খোঁজে আশেপাশের এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।