পুরুলিয়া: মদ্যপ অবস্থায় চার সন্তানকে মেঝেতে ফেলে বেধড়ক পিটিয়েছিলেন। মাথায় আঘাত করেছিলেন। প্রথমেই মৃত্যু হয়েছিল তিন বছরের ছেলের। তারপর হাসপাতালে মৃত্যু হয় সাত বছরের মেয়ের। মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালেই মৃত্যু হল আট বছরের এক মেয়ের। মৃতার নাম অর্পিতা মাহাতো (৮)।
পুরুলিয়ার টামনা থানার ডিগশিলি গ্রামের বাসিন্দা প্রভাস মাহাতো পেশায় দিনমজুর। শুক্রবার রাতের ঘটনা। মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ঢুকেছিলেন প্রভাস। সে সময়ে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বচসা শুরু হয়। জানা যাচ্ছে, ঘর থেকে চ্যালা কাঠ নিয়ে স্ত্রীকেই প্রথমে মারধর শুরু করেছিলেন প্রভাস। কোনওমতে ঘর থেকে বেরিয়ে প্রতিবেশীদের ডাকতে গিয়েছিলেন প্রভাসের স্ত্রী। অভিযোগ, সেসময়ই চার সন্তানকে বেধড়ক পেটান প্রভাস। যতক্ষণে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করা হয়, প্রভাস এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছিল চারটে শিশু।
রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুদের উদ্ধার করে পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। শুক্রবারই হাসপাতালে মধুমিতা মাহাতো নামে এক শিশুকন্যার মৃত্যু হয়। রবিবার রাতে হাসপাতালে মৃত্যু হয় ছেলে। মঙ্গলবার রাতে আট বছরের অর্পিতার মৃত্যু হয়। আরেক সন্তান রাঁচি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। শ্যামলা আপাতত তার সেই সন্তানের সঙ্গেই রয়েছে।
এদিকে প্রভাসের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, ঝাড়খণ্ড লাগোয়া জঙ্গলের দিকেই পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারে প্রভাস। যেহেতু মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না, তাই লোকেশন ট্র্যাক করাও সম্ভব নয়।
জেলা পুলিশ সূত্রে খবর ফেরার প্রভাস মাহাতোর ছবি সব থানায় পাঠানো হয়েছে। যোগাযোগ করা হয়েছে ঝাড়খণ্ড পুলিশের সঙ্গেও।