ঝালদা: জাতীয় রাজনীতিতে এখন কংগ্রেস ও তৃণমূল ঘোষিত জোটসঙ্গী। বিরোধীদের ইন্ডিয়া মহাজোট অন্যতম দুই প্রধান শরিক সনিয়া গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা। সম্প্রতি লোকসভায় অধীররঞ্জন চৌধুরীর সাসপেন্ড হওয়া নিয়েও সরব হয়েছে তৃণমূল। জাতীয় স্তরের সেই বন্ধুত্বের আঁচ কি পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনেও? কংগ্রেস আর তৃণমূল মিলে মিশে তৈরি করল পঞ্চায়েতের বোর্ড। কংগ্রেসের প্রধান আর তৃণমূলের উপপ্রধান। এবার পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে এমনই সমীকরণ ধরা পড়ল পুরুলিয়ার ঝালদায়। শুক্রবার ঝালদা-১ ব্লকের কলমা গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন ছিল। সেখানেই পঞ্চায়েতের প্রধান হলেন কংগ্রেসের চৈতন বাগদি এবং উপপ্রধান হলেন তৃণমূলের অনাথবন্ধু মাহাত।
উল্লেখ্য, এই কলমা গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১৩টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে ছ’টি আসন জিতেছে কংগ্রেস। চারটি আসন গিয়েছে তৃণমূলের ঝুলিতে। আর বাকি তিনটি আসন জিতেছে আজসু। বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে যে সমীকরণ তৈরি হয়েছিল, তাতে দলের বাইরের অন্তত একজনের সমর্থনের প্রয়োজন ছিল কংগ্রেসের। সেক্ষেত্রে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, তৃণমূলের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য অনাথবন্ধু মাহাত কংগ্রেসকে সেই সমর্থন দিয়েছেন। আর সেই ভোট পেয়েই কংগ্রেসের থেকে প্রধান হয়ে যান চৈতন বাগদি।
তবে অনাথবন্ধুকেও খালি হাতে ফেরানো হয়নি। কংগ্রেসকে সমর্থনের পুরস্কার হিসেবে তাঁর ভাগ্যেও জুটেছে উপপ্রধানের পদ। বোর্ড গঠনের পর অবশ্য কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধান ও তৃণমূলের উপপ্রধান উভয়েই খুব খুশি। দু’জনেই মেনে নিচ্ছেন কংগ্রেস ও তৃণমূল একসঙ্গে মিলেমিশে বোর্ড গঠন করেছে এই পঞ্চায়েতে। চৈতন বলছেন, ‘কংগ্রেস থেকে আমি প্রধান হয়েছি। আর উপপ্রধানকে বাকি সবাই সমর্থন করেছেন, তাই তিনি উপপ্রধান হয়েছেন।’ উপপ্রধানের পদ পাওয়া অনাথবন্ধুও বলছেন, ‘তৃণমূলের চারজন ও কংগ্রেসের ছয়জন মিলেই আমাকে উপপ্রধান করেছেন। একপ্রকার জোটই মনে করুন।’