বর্ধমান: হস্টেলের ঘর দখল করে রয়েছে বহিরাগতরা। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরই নড়েচড়ে বসল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অবিলম্বে যাতে বহিরাগতরা হস্টেল ছাড়েন, সেই নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। র্যাগিং নিয়ে যে শিক্ষা দফতর কড়া নজরদারি চালাচ্ছে, সে কথাও উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার পরই সামনে এসেছে র্যাগিংয়ের অভিযোগ। প্রশ্ন উঠেছে, হস্টেলের পরিস্থিতি নিয়ে। কীভাবে বর্তমান ছাত্র না হয়েও দিনের পর দিন কিছু যুবক হস্টেলে রয়ে যাচ্ছেন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। এমতাবস্থায় রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয় তথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির হস্টেলই হয়ে উঠেছে শিক্ষা দফতরের মাথাব্যথার কারণ।
সম্প্রতি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল নিয়েও বেশ কিছু অভিযোগ সামনে আসে। TV9 বাংলায় সেই খবর প্রকাশিত হয়েছে। জানা গিয়েছে, বছর চারেক আগে র্যাগিংয়ের একটি ঘটনা ঘটেছিল, যা তখন সামনে আনেনি অভিযুক্ত। এবার সেই
অযোগ সামনে এসেছে। এমনটাও জানা যায় যে, হস্টেলে যা ছাত্রের সংখ্যা, তার থেকে বেশি লোকজন সেখানে থাকেন ও খাওয়া দাওয়া করেন।
এমন সব অভিযোহ সামনে আসার পরই হস্টেল বহিরাগত মুক্ত করতে তৎপর হল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। হস্টেল কক্ষ বহিরাগত বা প্রাক্তনীদের দখলে রয়েছে কি না, তা জানতে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। যদি বেআইনি দখল হয়ে থাকে, তাহলে সাতদিনের মধ্যে হস্টেল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবারই নির্দেশ জারি করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন রেজিস্ট্রার।