দক্ষিণ ২৪ পরগনা: প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু এ দৃশ্য দেখতে হবে, তা দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি। কথায় বলে এমনিতেই কাকদ্বীপ-সুন্দরবনের বাসিন্দারা বাঘে-কুমিরের সঙ্গে বাস করেন। নদীর জল উপচে গ্রামে ঢুকলেই কুমির ঢুকে পড়ে গ্রামে। কিন্তু তা বলে শুকনো দিনে ডাঙায়! সাত সকালে লোকালয়ে কুমির আতঙ্কে কাকদ্বীপের ফটিকপুরে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের ফটিকপুর শাসমল পাড়া এলাকায় কুমির আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সাত সকালেই প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে রাস্তার পাশে কুমিরটিকে দেখতে পান স্থানীয় এক বাসিন্দা। তারপরেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে বেরিয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, রাস্তার ওপর থেকে কুমিরটি লাফ দিয়ে পড়ে পাশের পুকুরে। খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। চলতি মাসের প্রথম দিকে এই গ্রামেই একটি কুমির দেখাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়ায়। সেই সময় কোনওভাবে কুমির টিকে ধরা সম্ভব হয়নি। আবার একই ঘটনায় আতঙ্কিত গোটা গ্রাম।
বুধবার সকালে নামখানা বনদফতরের কর্মীরা পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। গ্রামবাসীদের তৎপরতায় পুকুর থেকে কুমিরটিকে ধরার জন্য বসানো হয়েছে সাতটি পাম্প। ইতিমধ্যেই পুকুর থেকে জল তোলার কাজ চলছে। পাশাপাশি নামখানা বনদফতরের কর্মীরা কুমিরের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
গ্রামবাসীদের অনুমান, পাশেই সপ্তমুখী নদী রয়েছে, হয়ত সেই নদী থেকে ঢুকেছে কুমিরটি। এক গ্রামবাসীর বক্তব্য, “ভয় তো লাগছেই। বাচ্চারা রাস্তাঘাটে খেলে বেড়ায়। এইভাবে বন্যেরা লোকালয়ে ঢুকে পড়লে, ভয় পাবে না মানুষ!”