Kakdwip: সাপে কাটা আড়াই বছরের মেয়ের নিথর শরীর কলার পাতার ভেলায় ভাসালেন বাবা-মা!

Shuvendu Halder | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Aug 24, 2023 | 3:15 PM

Kakdwip: গত মঙ্গলবার বাড়িতেই ছিল আড়াই বছরের শিশুটি। মা ভাত খাওয়াচ্ছিলেন। রান্নাঘরে গিয়েছিলেন তরকারি আনতে। তখনই ঘরের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা একটি সাপের গায়ে পা লেগে যায় শিশুটির।

Follow Us

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: চাঁদে পৌঁছাল দেশ। অবতরণেই হল উত্তরণ। আর সেই সময়েই দেশের বলা ভালো বাংলার প্রত্যন্ত এক গ্রামে কুসংস্কারের গাঢ় অন্ধকার প্রকট হল। সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। হাসপাতাল ঘুরেও যখন শেষ রক্ষা হয়নি। তখন বাবা-মা মেয়ের ছোট্ট শরীর ভেলায় শুইয়ে ভাসিয়ে দিলেন নদীতে। ঘটনাটি ঘটেছে কাকদ্বীপের প্রসাদপুর এলাকায়। মনসামঙ্গল কাব্যের ছায়া ধরা পড়ল বটে, তবে প্রশ্ন উঠছে, এখনও মানুষের মনে কীভাবে বাসা বেঁধে রয়েছে কুসংস্কার।

গত মঙ্গলবার বাড়িতেই ছিল আড়াই বছরের শিশুটি। মা ভাত খাওয়াচ্ছিলেন। রান্নাঘরে গিয়েছিলেন তরকারি আনতে। তখনই ঘরের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা একটি সাপের গায়ে পা লেগে যায় শিশুটির। দ্রুত তাকে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান বাবা-মা। শিশুটিকে সেখানে অক্সিজেনও দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় না।

এরপর দেহটি ময়নাতদন্ত না করে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর বাবা-মা বাড়িতে নিয়ে চলে আসে মেয়ের নিথর শরীর। কিন্তু সৎকার করেননি। বুধবার সকালে মৃত শিশুকন্যার দেহ কলার ভেলায় ভাসিয়ে দেওয়া হয় মুড়িগঙ্গা নদীতে। নদীর ধারে বসে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা-মা। তাঁদের আশা, নদীর জলে মৃত শিশু আবার প্রাণ ফিরে পাবে!

সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি চাউর হতেই নড়েচড়ে বলে হারুউড পয়েন্ট উপকূল থানার পুলিশ। বিকালে শিশুটির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেহ ময়নাতদন্ত না করে কেন পরিবারের হাতে তুলে দিল ?‌ হাসপাতালের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

শিশুটির বাবা কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই। মা বললেন, “মেয়েকে ফিরে পাব কিনা জানি না, তবুও ভগবানে বিশ্বাস… যদি কিছু হয়”

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: চাঁদে পৌঁছাল দেশ। অবতরণেই হল উত্তরণ। আর সেই সময়েই দেশের বলা ভালো বাংলার প্রত্যন্ত এক গ্রামে কুসংস্কারের গাঢ় অন্ধকার প্রকট হল। সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। হাসপাতাল ঘুরেও যখন শেষ রক্ষা হয়নি। তখন বাবা-মা মেয়ের ছোট্ট শরীর ভেলায় শুইয়ে ভাসিয়ে দিলেন নদীতে। ঘটনাটি ঘটেছে কাকদ্বীপের প্রসাদপুর এলাকায়। মনসামঙ্গল কাব্যের ছায়া ধরা পড়ল বটে, তবে প্রশ্ন উঠছে, এখনও মানুষের মনে কীভাবে বাসা বেঁধে রয়েছে কুসংস্কার।

গত মঙ্গলবার বাড়িতেই ছিল আড়াই বছরের শিশুটি। মা ভাত খাওয়াচ্ছিলেন। রান্নাঘরে গিয়েছিলেন তরকারি আনতে। তখনই ঘরের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা একটি সাপের গায়ে পা লেগে যায় শিশুটির। দ্রুত তাকে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান বাবা-মা। শিশুটিকে সেখানে অক্সিজেনও দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় না।

এরপর দেহটি ময়নাতদন্ত না করে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর বাবা-মা বাড়িতে নিয়ে চলে আসে মেয়ের নিথর শরীর। কিন্তু সৎকার করেননি। বুধবার সকালে মৃত শিশুকন্যার দেহ কলার ভেলায় ভাসিয়ে দেওয়া হয় মুড়িগঙ্গা নদীতে। নদীর ধারে বসে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা-মা। তাঁদের আশা, নদীর জলে মৃত শিশু আবার প্রাণ ফিরে পাবে!

সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি চাউর হতেই নড়েচড়ে বলে হারুউড পয়েন্ট উপকূল থানার পুলিশ। বিকালে শিশুটির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেহ ময়নাতদন্ত না করে কেন পরিবারের হাতে তুলে দিল ?‌ হাসপাতালের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

শিশুটির বাবা কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই। মা বললেন, “মেয়েকে ফিরে পাব কিনা জানি না, তবুও ভগবানে বিশ্বাস… যদি কিছু হয়”

Next Article