দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন হামলা হয়েছিল তাঁর ওপর। এতদিন লড়াই চালাচ্ছিলেন। মৃত্যু হল ওই তৃণমূল কর্মীর। বাসন্তীতে ভোট সন্ত্রাসের বলি এক তৃণমূল কর্মী। অভিযুক্ত আরএসপি। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম আজাহার লস্কর(৬৩)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের দিন অর্থাৎ ৮ জুলাই শনিবার ওই ব্যক্তি যখন জ্যোতিষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধারানিপুর গ্রামে ভোটের সময় বুথের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন আজাহার। তখনই গন্ডগোল বাঁধে। অভিযোগ তাঁকে এলোপাথাড়ি মারধর করেছিলেন আরএসপি কর্মী-সমর্থকরা। এই ঘটনায় মোট পাঁচ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে আজাহার লস্কর ছিলেন। অভিযোগ ওঠে, সেদিন ব্যালট বাক্স ও পেপার লুঠ করে ফেলা হয়েছিল স্কুলের সামনের একটি পুকুরে। শুধু তাই নয়, সেদিন ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছিল স্কুলের সমস্ত আসবাবপত্র। আহত আজাহার লস্করকে প্রথমে তাঁকে ক্যানিং মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় চিকিৎসকরা তাঁকে কলকাতার হাসপাতাল স্থানান্তরিত করেন। সেখানে চিকিৎসা চলছিল। তারপর তাঁকে বাড়িতে আনা হয়। আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে শুক্রবার সকলে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর মাথায় এবং বুকে গুরুতর আঘাত লাগে। এই ঘটনার জন্য বাম সমর্থকদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল।
বাসন্তীর প্রাক্তন আরএসপি বিধায়ক ও মন্ত্রী সুভাষ নস্কর বলেন, “এলাকার কোথাও আরএসপি-র বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ নেই। তবে সংঘর্ষ হয়েছে, সেটা জানি। সেখানে যে প্রবীণ ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁকেও ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তাঁর মৃত্যু দুঃখজনক। তবে ভোটের দিন আরএসপি-কেই বুথ তেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আসলে রাধারানিতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী ছিল। দুটো তৃণমূল ছিল, যার বলি হল ফুলমালঞ্চে। এটা স্পষ্ট করছি। বাকিটা পুলিশ তদন্ত করে দেখবে।”
বাসন্তীর তৃণমূল বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ওই ব্যক্তির ওপর হামলা হয়েছিল। হামলা চালিয়েছিল আরএসপি-র লোকই।”