বজবজ: জোড়া খুনের ঘটনায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি অসীম বৈদ্যকে গ্রেফতার করেছে বজবজ থানার পুলিশ। রাতের অন্ধকারে গ্রামের রাস্তায় পরপর পড়েছিল দুটি লাশ। আর তার পাশেই ধারাল অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল এই অসীমকে। এমনটাই দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শী তথা মৃত মাধব পুরকায়েতের ভাই। এলাকার লোক বলছেন, মাধব আর অসীম বৈদ্যের মধ্যে একেবারে মায়ের পেটের ভাইয়ের মতো সম্পর্ক ছিল। বাড়িতে যাওয়া, থাকা-খাওয়া চলত। তারপর কী এমন হল?
শুক্রবার রাতে বজবজের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শীতলা সঙ্ঘ ক্লাবের কাছ থেকে দুজনের দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদের নাম মাধব পুরকাইত ও গণেশ নস্কর। তাঁদের পরিবারের দাবি, রাতে খাওয়ার পর তাঁরা পান খেতে বেরিয়ে ছিলেন। সেই সময়েই তাঁদের খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পুরনো শত্রুতার জেরেই খুন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। অসীম সহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মাধব পুরকায়েতের এক আত্মীয়া বলেন, ‘অসীমের সঙ্গে মাধবের মায়ের পেটের ভাইয়ের মতো সম্পর্ক ছিল। অসীম ২ নম্বরি কারবার করত। সেই কারবার থেকে মাধব সরে এসেছিল বলেই যত রাগ।’ ওই মহিলা জানিয়েছেন, অসীমে সঙ্গে কারবার ছেড়ে মাছ-মাংসের দোকান দিতেন মাধব। বেশ কিছুদিন ধরে তাঁকে দোকান ভেঙে দেওয়ার, মারধর করার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলেও অভিযোগ অসীমের বিরুদ্ধে। মহিলা জানান, রাতের অন্ধকারে লোক রেডি করে রেখেছিলেন অসীম। সুযোগ বুঝে প্রথমে ইট দিয়ে মারা হয় বলে ধারাল অস্ত্রের কোপ গলায় বসানো হয় বলেও অভিযোগ।
তৃণমূল নেতা অসীম বৈদ্যের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সেই প্রসঙ্গে এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর হাসিবা সাপুই বলেন, প্রশাসন যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে। দলের তরফেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, এলাকার বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ গ্রামে কোনও আলো নেই বললেই চলে। কোনও বিপদ ঘটে গেলে হাসপাতালে যাওয়ারও সুযোগ থাকে না। এই প্রসঙ্গে , আলো লাগানোর ব্যবস্থা আমি করেছি। তবে বারবার ঝড়ে সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।