ভাঙড়: বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না ভাঙড়ের। এবার স্বাধীনতা দিবসের সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ঘিরেও গোলমালের অভিযোগ ভাঙড়ে। ভাঙড়ের বেশ কিছু এলাকায় আইএসএফ কর্মী ও সমর্থকদের জাতীয় পতাকা উত্তোলনে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূলের একাংশের দিকে। ভাঙড়-১ অঞ্চলে আইএসএফ-কে দু’টি পৃথক জায়গায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর। আইএসএফ কর্মী ও সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। শুধু তাই নয়, পতাকা উত্তোলন করলে খুন করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি আইএসএফ বিধায়কের।
উল্লেখ্য, এদিন ভাঙড়-১ ব্লকের নলমুড়ি এলাকায় আইএসএফ কর্মী ও সমর্থকদের পতাকা উত্তোলনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তী সময়ে পুলিশি নিরাপত্তায় পতাকা উত্তোলন করেন নওশাদ। বিধায়ক জানালেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশ তাঁকে আশ্বস্ত করেছে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে নওশাদ পুলিশকে পদক্ষেপের জন্য ৪৮ ঘণ্টার চরমসীমা বেঁধে দিয়েছেন। বলছেন, যদি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তাহলে কোন কোন দফতরে বিষয়টি জানাতে হয়, সেটি তিনি দেখবেন। নওশাদের বক্তব্য, এটা তো কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটা তো স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি।
একইসঙ্গে ভাঙড়ের বিধায়কের দাবি, তৃণমূলের ব্যানারের আশ্রয়ে যে দুষ্কৃতীরা এই কাণ্ড ঘটাচ্ছে, তারা আসলে কারা, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখুক পুলিশ। বলছেন, ‘বহির্বিশ্বের কোনও অপশক্তি? কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে এদের যোগ আছে নাকি, সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যানারে এরা লালিত-পালিত। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তাদের সুপ্রিমো এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিন। দলীয় স্তরে তারা তদন্ত করুক। প্রশাসন তদন্ত করুক। এরা সমাজ বিরোধী নয় তো? শুধু শাসকের ব্যানারকে ব্যবহার করে দেশবিরোধী শক্তি এই কাজ করছে না তো? এটা তদন্ত হওয়া দরকার।’
এদিকে নওশাদদের এই অভিযোগের সঙ্গে তৃণমূলের যোগের কথা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। তাঁর বক্তব্য, ‘এসবই ভাঁওতা। এসব প্রতারণা। মানুষের সমর্থন আর নওশাদ সিদ্দিকীর সঙ্গে নেই। সেটা আড়াল করতে এসব কথাবার্তা বলছেন।’