Kashipur: পঞ্চায়েত আবহে ভাঙড়ে বাজেয়াপ্ত করা কাঠের গুঁড়ি বিক্রি করছে পুলিশই! অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

Satyajit Mondal | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Aug 23, 2023 | 4:30 PM

Kashipur: একদিন হঠাৎই পুলিশ সেগুলিকে বাজেয়াপ্ত করে। রাজ্য পুলিশ ও বনদফতরের উদ্যোগে সেই কাঠের গুঁড়ি নিয়ে আসা হয়েছিল থানায়। পুলিশের বক্তব্য ছিল, অশান্তির সময়ে দুষ্কৃতীরা রাস্তায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে পুলিশের গতি রুদ্ধ করতে পারে।

Kashipur: পঞ্চায়েত আবহে ভাঙড়ে বাজেয়াপ্ত করা কাঠের গুঁড়ি বিক্রি করছে পুলিশই! অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি
রাতের অন্ধকারে কাঠের গুঁড়ি বিক্রির অভিযোগ
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

ভাঙড়: ভাঙড় এবার থেকে কলকাতা পুলিশের নিয়ন্ত্রনাধীন। মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশের তরফে নোটিফিকেশন জারি হতেই, কাশীপুর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ। পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে রাস্তার ধার থেকে বাজেয়াপ্ত করা বহু কাঠের গুড়ি অন্ধকার বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কাশীপুর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। সরব বিরোধীরাও। অভিযোগ, রীতিমতো জেসিবি লাগিয়ে পিকাপ ভ্যানে করে সেই কাঠের গুঁড়ি নিয়ে চলে যাচ্ছে। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় ভাঙড়ের রাজনৈতিক মহলে।

প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে বারবার ভাঙড়কে উত্তপ্ত হতে দেখেছে বাংলার রাজনৈতিক মহল। ‘লাশ’ পড়েছে একাধিক, গুলি চলেছে, আগুন জ্বলেছে। ১৪৪ ধারা জারি থেকে দীর্ঘদিন। সেসময়ে পুলিশের বাহিনী টহল দিয়েছে এলাকায়। কাশীপুর থানা থেকে ভাঙড় যাওয়ার রাস্তার দু’ধারে প্রচুরে কাঠের গুঁড়ি রাখা ছিল।

একদিন হঠাৎই পুলিশ সেগুলিকে বাজেয়াপ্ত করে। রাজ্য পুলিশ ও বনদফতরের উদ্যোগে সেই কাঠের গুঁড়ি নিয়ে আসা হয়েছিল থানায়। পুলিশের বক্তব্য ছিল, অশান্তির সময়ে দুষ্কৃতীরা রাস্তায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে পুলিশের গতি রুদ্ধ করতে পারে। সেই কারণে কাঠের গুঁড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়। কাঠের মালিকরা থানায় গিয়ে যোগাযোগ করলে জানানো হয়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তা ফেরত দেওয়া হবে। কাঠের গুড়ির মালিকানার প্রমাণও দেন ব্যবসায়ীরা। থানায় তা গৃহীতও হয়।

অভিযোগ, মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশের বিজ্ঞপ্তি জারির পরই দেখা যায় রাতে জেসিবি দিয়ে সেই কাঠের গুঁড়ি বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। মুনাফার জন্য এই কাঠ বিক্রি করছে বলে অভিযোগ করেন রাজনৈতিক নেতারা।

বিজেপি নেতার বক্তব্য, “পুলিশ অশান্তির সময়ে ভাঙড়ে সেরকম কোনও দায়িত্বই পালন করেনি। এখন এখানকার আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব আর তাদের হাতে থাকছে না। তাই যাওয়ার আগে বাজেয়াপ্ত করা কাঠের গুঁড়ি বিক্রি করে দিচ্ছি। এটা এই সরকারের আমলেই হয়।” পুলিশের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। মুখে কুলুপ এঁটেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও।

Next Article