ভাঙড়: তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের উপরই ভরসা রাখল দল। ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি করা হল আরাবুলকে। সহ সভাপতি হলেন সোনালী বাছাড়। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা আরাবুল ইসলামের গলায় মালা পরিয়ে তাঁকে সম্ভাসন জ্ঞাপন করলেন।
এর আগে ২০১৩ সালে ভাঙড় দুই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন আরাবুল ইসলাম। সংরক্ষণের কারণে ২০১৮ সালে আরাবুল সহ সভাপতি হয়েছিলেন আর সভাপতি ছিলেন বিশ্বজিৎ মণ্ডল। পাঁচ বছর পরে আবার ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এলেন আরাবুল। শওকত মোল্লার উপস্থিতিতে আবদুর রহিম শনিবার তাঁর নাম প্রস্তাব করেন পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনে।
ভাঙড়ে তৃণমূলের ২২ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের ভোট পেয়েছেন আরাবুল ইসলাম। বিরোধীরা পেয়েছে ৩ ভোট। শনিবারও ভোট বয়কট করে আইএসএফ। চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকি আগেই জানিয়েছিলেন দল ভোট বয়কট করবে। সেই মোতাবেক ভোট বয়কট করে দল।
সভাপতি হওয়ার পর আরাবুল বলেন, “শহিদদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। শওকত মোল্লার নেতৃত্বেই এই জয় পেয়েছি আমরা। আর ভাঙড়ের মানুষের প্রতিও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। দলের আদেশ মেনেই কাজ করব। ভাঙড়ের মানুষ যাতে পরিষেবা পান সেই সমস্ত বিষয় খেয়াল রাখব।”
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়। ভোটের দিনে, ভোট গণনার দিনে, এমনকী তারও পরে বার বার গোলমালের অভিযোগ উঠেছে ভাঙড়ের বেশ কিছু এলাকায়। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের সময়ও অশান্তি পিছু ছাড়েনি ভাঙড়রের। সেখানকার কাশীপুর থানা এলাকার মাঝেরহাটি গ্রামে আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষ হয়। আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের উপর বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। যদিও, দু পক্ষই-দু’জনের ঘাড়ে দোষ চাপায়।