বজবজ: পান খেতে বেরিয়েছিলেন দুই বন্ধু। প্রতিদিন রাতেই খাওয়া-দাওয়ার পর বেরোতেন তাঁরা। কিন্তু রাত বাড়লেও বাড়ি ফেরেননি দু’জন। উদ্বিগ্ন হয়ে পরিবার খোঁজ শুরু করে কিছুক্ষণ পরই। রাস্তায় বেরতেই চোখে পড়ে ধারাল অস্ত্র হাতে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে আছেন কিছু লোকজন। এরপরই উদ্ধার হয় দুই বন্ধুর রক্তাক্ত দেহ। গলার নলি কাটা অবস্থায় তাঁদের দেহ রাস্তার ধারে পড়েছিল বলে অভিযোগ। নৃশংসভাবে দুজনকে হত্যা করার অভিযোগে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি অসীম বৈদ্যর। পরিবারের দাবি, পুরনো শত্রুতার জেরেই এমনটা করা হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ পুরসভা এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শীতলা সঙ্ঘ ক্লাবের কাছে এই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার রাতে। মৃতরা হলেন মাধব পুরকাইত ও গণেশ নস্কর। ইতিমধ্যে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পরিবারের তরফে। অসীম বৈদ্য সহ বেশ কয়েকজন অভিযুক্তদের খোঁজ নেই এলাকায়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
দুজনই বজবজ ১ নম্বর ব্লকের নিশ্চিন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতোই রাতে পান খেতে বেরিয়েছিলেন তাঁরা। দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না ফেরায় মাধব পুরকাইতের ভাইকে খোঁজ নিতে বলেন মাধবের স্ত্রী। তাঁর ভাইয়ের দাবি, বাড়ি থেকে বেরিয়ে শীতলা সঙ্ঘ ক্লাবের কাছে যেতেই তিনি দেখতে পান অসীম বৈদ্য সহ কিছু লোকজন দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁদের হাতে ছিল তলোয়ারের মতো ধারাল অস্ত্র।
মাধবের ভাই জানান, একটু এগিয়েই তিনি দেখতে পান তাঁর দাদা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। এরপরই অভিযুক্তরা তাঁকে তাড়া করেন। ঘটনাস্থল থেকে দূরে গিয়ে তিনি পরিবারের সবাইকে সবটা জানান। এরপর সোজা থানায় চলে যান। পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুজনের দেহ উদ্ধার করে খড়িবেরিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরিবারের অভিযোগ, অসীম বৈদ্যের সঙ্গে ছিল পুরনো শত্রুতা। তার জেরেই এই খুন। জমি কেনা বেচার কাজ করতেন মাধব পুরকাইত। সেই কাজ ছেড়ে বেরিয়ে আসাতেই নাকি তৈরি হয় শত্রুতা। আগেও তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বজবজ থানার পুলিশ।