উত্তর দিনাজপুর: তিন ব্যক্তির উপর অ্যাসিড ছোড়ার অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় করণদিঘি থানা এলাকা। এক মহিলা এই অ্যাসিড ছোড়েন। অভিযোগ, সম্ভ্রম বাঁচাতেই অ্যাসিড ছোড়েন তিনি। তবে গোটা ঘটনার নেপথ্যে জমি বিতর্ক এবং পারিবারিক বিবাদের তত্ত্বও উঠে আসছে। অ্যাসিড হামলায় জখম তিনজনকে প্রথমে করণদিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় বলে খবর।
করণদিঘি থানা এলাকার বাসিন্দা দর্পণ শীল। তাঁর সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর বিবাদ বাধে বলে অভিযোগ। দর্পণ তাঁর স্ত্রীর গায়েও হাত তোলেন বলে অভিযোগ ওঠে। ওই মহিলাকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দু’দিন চিকিৎসার পর বাড়ি ফেরেন তিনি। এরপরই জানতে পারেন, স্বামী অন্য একজন মহিলার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন। একইসঙ্গে তাঁদের বাড়িও বিক্রি করে দিয়েছেন প্রতিবেশীর কাছে।
শনিবার রাতে সেই বাড়িতেই ফেরেন দর্পণের স্ত্রী ও শ্যালিকা। সেই সময় তিনজন পাঁচিল টপকে তাঁদের বাড়িতে ঢুকে পড়েন। শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। এরপরই দর্পণের শ্যালিকা ঘরে থাকা অ্যাসিডের বোতল ওই তিনজনের দিকে ছোড়েন। তাতেই আহত হন তাঁরা।
যদিও এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ১ অগস্ট দর্পণ ওই বাড়ি বিক্রি করে দেন। পাশেই ঘর আছে, সেখানে থাকছিলেন। এদিকে যাঁরা বাড়িটি কেনেন, তাঁরা শনিবার ঘর পরিষ্কার করাও শুরু করে দেন। এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “দর্পণের বউ এসে বলল কাপড় বের করবে, ঘরের তালা খুলে দিতে। কাপড় বের করার নামে ঘরে ঢুকে আর বেরোতে চাইছিলেন না। এ নিয়েই গোলমাল। এরপরই দর্পণের বাড়ির মেয়েরা অ্যাসিড ছুড়তে শুরু করেন।” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে করণদিঘি থানার পুলিশ।