কালিয়াগঞ্জ: জেলায় জেলায় পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের পালা শুরু হয়ে গিয়েছে। বুধবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মুস্তফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন পর্ব শুরু হয়। আর সেই বোর্ড গঠন ঘিরে সকাল থেকে উত্তপ্ত এলাকা। বোমাবাজির অভিযোগ উঠছে। শাসক-বিরোধী উভয়েই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলছে। তৃণমূল সকাল থেকে অভিযোগ তুলে আসছে বিরোধীরা গন্ডগোল পাকাচ্ছে। বিরোধী বলতে সিপিএম-বিজেপি-কংগ্রেসের জয়ী সদস্যরা। আর অন্যদিকে তৃণমূল শিবির। আর এবার বেলা গড়াতেই নতুন তথ্য। বোর্ড গঠন ঘিরেও এবার উঠে আসছে শাসকের গোষ্ঠীকোন্দল। পছন্দমতো পঞ্চায়েত প্রধান পাওয়ার দাবিতে বিরোধীদের সঙ্গে ‘জোট’ পাকাচ্ছে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ কর্মীরাও। আর এসবের মধ্যেই স্থগিত হয়ে গেল পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন পর্ব।
এই মোস্তফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ৩০টি আসন রয়েছে। ২০১৮ সালে এই পঞ্চায়েতের বোর্ড ছিল বিজেপির দখলে। তবে এবার ত্রিশঙ্কু হয়েছে। পঞ্চায়েতের ৩০টি আসনের মধ্যে ১৩টি জিতেছে তৃণমূল। বিজেপি জিতেছে ৮টি আসন। কংগ্রেস তিনটি এবং সিপিএম দু’টি। বাকি চারটি আসনে নির্দল প্রার্থীরা জিতেছেন। এখন তৃণমূলের দাবি, তাদের দলীয় প্রার্থী-সহ নির্দল মিলিয়ে ১৬ জনের সমর্থন রয়েছে। বিরোধীরাই গন্ডগোল পাকাচ্ছে। এদিকে বিরোধীরা পাল্টা অভিযোগ তুলছে তৃণমূলের দিকে। এই নিয়ে সকাল থেকেই ব্যাপক চাঞ্চল্য মোস্তফানগরে।
আর এসবের মধ্যেই কিছু তৃণমূলের ‘বিক্ষুব্ধ’ কর্মীও সরব হয়েছে শাসক দলের স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে। তাঁদের দাবি, তাঁদের পছন্দের সদস্যকে প্রধান করতে হবে। কিন্তু সেই দাবি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলছেন বিক্ষুব্ধরা। বিক্ষুব্ধদের দাবি, নতুন সদস্যদের মধ্যে প্রধান করা হোক। বলছেন, ‘অন্য দলের লোকেরা আমাদের সমর্থক করছে। কিন্তু আমাদের দল আমাদের সমর্থন করছে না। আমরা সিপিএম-বিজেপি-নির্দল সবাইকে নিয়ে মহাজোট করতে চাই।’
যদিও তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর দাবি, এসব তত্ত্ব মানতে নারাজ। বিক্ষুব্ধ তৃণমূল, বিজেপি সবাই এককাট্টা হয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে, এই বিষয়ে প্রশ্ন করতেই তাঁদের দাবি, ‘অভিযোগ তাঁরা করছে। কিন্তু অভিযোগ তো আমরাও জানাচ্ছি। আমাদের ১৬ জনের মধ্যে ২ জনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’ তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ প্রসঙ্গ এড়িয়ে বিজেপির দিকেই আঙুল তুলছেন তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর লোকেরা।