উত্তর দিনাজপুর: দু’দিন আগে মেদিনীপুরের খড়গপুরে ক্লাস চলাকালীন ছাদের চাঙড় ভেঙে পড়ে। শুক্রবার সেই একই ঘটনা ঘটল করণদিঘিতে। ক্লাস চলাকালীন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ছাদের চাঙড়। ৫ জন পড়ুয়া গুরুতর জখম হয়। একজনের জখম গুরুতর। আহতদের করণদিঘি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করণদিঘি ব্লকের লাহুতাড়া কামাত প্রাথমিক বিদ্যালয়। শুক্রবার সেখানেই ঘটে বিপত্তি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আহতদের মধ্যে ৩ জন তৃতীয় শ্রেণির এবং ২ জন দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ২০ বছরের মতো হয়েছে এই স্কুলভবনের। কিন্তু তারই মধ্যে জায়গায় জায়গায় ফাটল ধরতে শুরু করে। অভিভাবক, এলাকার লোকজন বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েওছিলেন। তবে প্রধান শিক্ষক তা কানে তোলেননি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দা অনিলকুমার যাদব, নুরশেদ আলমদের। তাঁদের ভয় ছিল, এমন কিছু ঘটতে পারে। ঘটলও তাই।
এলাকার বাসিন্দা অনিলকুমার যাদবের কথায়, “অনেকদিন ধরেই এই অবস্থা। যিনি দায়িত্বে বারবার বলা হয়েছে তাঁকে। উনিও বলতেন করে দেবেন। কিন্তু কী করেছেন তা তো দেখাই গেল। আজ দুপুর সাড়ে ১২-১টা নাগাদ ঘটনা ঘটে। ক্লাস চলছিল। হঠাৎই ছাদ থেকে অংশ খসে পড়ে। বড় বিপদ হতে পারে। যে জায়গাটা ভেঙেছে, ঠিক পাশেই ফ্যানটা ঘুরছিল। ওই জায়গাটা ভাঙলে ফ্যানটাও পড়ুয়াদের উপর ভেঙে পড়ত। কী হতো ভাবতেই পারছি না।” একই অভিযোগ নুরশেদ আলমেরও। বলেন, “ছাদ ভেঙে পাঁচটা বাচ্চা জখম হয়েছে। বারবার স্কুলে জানালেও ওরা ব্যবস্থা নেয়নি। এই বিপদটার ভয়ই ছিল। ঠিক ঘটল।” তবে এ নিয়ে স্কুলের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। যোগাযোগ হলে তা এই প্রতিবেদনে যুক্ত করা হবে।