উত্তর দিনাজপুর: টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে পঞ্চায়েত ভোটে লড়লে দলে ঠাঁই নেই, বারবার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ ভোটের ফল প্রকাশের পর এক মাসও কাটেনি। এরমধ্যেই নির্দলদের ‘ঘরওয়াপসি’ শুরু। রীতিমতো ধুমধাম করে ফেরানো হচ্ছে তৃণমূলে। যেমনটা দেখা গেল ইসলামপুরের গাইসাল-২ গ্রামপঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট না পেয়ে নির্দলে দাঁড়ানো বিক্ষুব্ধদের দলে ফেরাল উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। দলে ফিরে তাঁরা জানিয়েছেন, তৃণমূলেই ছিলেন। অন্যদিকে জেলা নেতৃত্বের দাবি, যাঁদের দলে নেওয়া হয়েছে, তাঁরা কেউ বহিষ্কৃত নন।
গাইসাল-২ গ্রামপঞ্চায়েতে মোট ১৪টি আসন। ভোটে ৪ জন তৃণমূলের প্রতীকে জিতলেও এবার ১৪ আসনই তাদের। রবিবার মোট ১০ জন জয়ী প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দেন। এরমধ্যে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নির্দল যেমন আছেন, বিজেপি ও কংগ্রেস থেকেও এসেছেন বলে দাবি তৃণমূলের। ৭ জন নির্দল, ১ জন বিজেপি, ২ জন কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দেন। এছাড়া ২ জন পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী প্রার্থীও এদিন তৃণমূলে যোগদান করেন।
এক জয়ী নির্দল প্রার্থীর স্বামী শাহনেওয়াজ আলম বলেন, “আমরা তো তৃণমূলেরই লোক। সে সময় আমাদের নেতৃত্বকে ভুল বার্তা দিয়েছিল কেউ কেউ। তাই টিকিট বাছাইয়ে ঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।” উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বাড়িতেই রবিবার এক যোগদান সভা হয়। এছাড়াও এদিন ধাপে ধাপে ইসলামপুর ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জয়ী প্রার্থীরা দল বদল করে তৃণমূলে যোগ দেন। মোট ২৫ জন গ্রামপঞ্চায়েতে জয়ী সদস্য, ৫ জন পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী সদস্য এদিন শাসকদলে যোগ দেন।
জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল জানান, নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে দল থেকে যাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে, তাঁদের ফেরানো হয়নি। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, এদিন যাঁরা তাঁর হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা নিলেন কেউই বিক্ষুব্ধ নন। বিজেপির জেলা সহ সভাপতি সুরজিৎ সেন বলেন, “যাঁরা দল বদল করছে মানুষ কোনওদিনই ক্ষমা করবে না। কারণ তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে তাঁদের মানুষ জিতিয়েছিল। উচিৎ জবাব ঠিকই পাবে।”