রায়গঞ্জ: করিম কাঁটায় অস্বস্তিতে তৃণমূল। নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই সুড় চড়ালেই ওই দলেরই বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী। শুধু তাই নয়, রাজ্যসভার নির্বাচন ও বিধানসভার বিল পাশ বয়কটের হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।
রবিবার উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর ব্লকের আগডিমটি খুন্তি অঞ্চলের বুধাগছ,দিঘিরপাড় গ্রাম ঘুরে দেখেন বিদ্রোহী এই বিধায়ক। পঞ্চায়েত ভোটে করিম ঘনিষ্ঠরা নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় করায় তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা তাঁদের বাড়িঘর ভাঙচুর করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীকে বারবার বলা সত্বেও তিনি কোনও পদক্ষেপ করছেন না। এই অত্যাচার বন্ধ না হলে তিনি সরকারের কাজকর্মের বিধোধিতা চালিয়ে যাবেন। এমনকী ওই গ্রামে দাঁড়িয়েই রাজ্যসভা নির্বাচন বয়কট করে বিধানসভার বিল পাশে হাজির না থাকার হুঁশিয়ারি দেন করিম।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনের দাবি, যাঁরা বাড়িঘর ছেড়ে বাইরে আছেন, ভোটের দিন তাঁরা এলাকায় গুলি চালিয়ে ভোট বন্ধ করে দিয়েছিল। সেই অভিযোগে পুলিশ তাঁদের খুঁজছে। গ্রেফতারি এড়াতেই তাঁরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আছেন। বিধায়ক না জেনে এলাকায় অশান্তি তৈরি করতেই মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কিংবা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর দাবি করেছেন আর পাঁচ মাসের মধ্যেই পড়ে যাবে তৃণমূল সরকার। একধাপ এগিয়ে সুকান্ত জানান, হঠাৎ বিধায়করা মনে করলেন আমরা সমর্থন করব না অন্য কাউকে সমর্থন করব। আবার এমন গণ-আন্দোলন শুরু হল যে বিধায়ক হাতজোড় করে তাঁদের পদ ছেড়ে দিলেন। এই সমস্ত কিছুরই সম্ভাবনা রয়েছে। বিজেপি-র রাজ্যসভাপতি এ হেন মন্তব্যের পরই তৈরি হয় জলঘোলা। তাহলে কি অস্থিরতা তৈরি হতে চলেছে বাংলার রাজনীতিতে? এর মধ্যে বলাগড়ের বিধায় মনোরঞ্জন ব্যাপারী, আবদুল করিম চৌধুরীর মতো বিধায়কদের একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যে স্বাভাবিক ভাবেই জলঘোলা তৈরি হয়েছে।