কলকাতা: এখনও ভিতরে রয়েছেন ফেটসু নেতা অরিত্র মজুমদার ওরফে আলু। ভিতরে রয়েছেন গৌরব দাস। চলছে জেরা। ডাক পড়েছিল এসএফআই (SFI) নেতা রুদ্র চট্টোপাধ্যায়েরও। তবে বেশ কিছুক্ষণ জেরার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যাদবপুর থানা (Jadavpur Police Station) থেকে বেরিয়ে খুব একটা কথা বলতে চাইলেন না যাদবপুর আর্টসের এই পড়ুয়া। শুধু বললেন, “এর আগেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্তকারীদের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছি। ওই ছাত্রের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের শাস্তি চাই।” প্রসঙ্গত, যাদবপুরের ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর খবর সামনে আসার পরেই প্রথম সামনে এসেছিল একটি চিঠি। যাতে সই ছিল মৃত ছাত্রের। যদিও সেই সই তাঁর কিনা তা নিয়ে ঘনায় রহস্য।
চিঠিতে ‘রুদ্রদা’ নামে এক সিনিয়রের কথাও লেখা ছিল। যিনি হুমকি দেন বলে অভিযোগ। তখনই জানা গিয়েছিল এই ‘রুদ্রদা’র নাম রুদ্র চট্টোপাধ্যায়। যদিও রুদ্র চট্টোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন, “আমি হুমকি দেওয়ার কেউ না। আমি হস্টেলেই থাকি না, আমার বাড়ি ৫ কিলোমিটার দূরে।” এদিকে ওই এ ঘটনার মধ্যেই মৃত ছাত্রের বাবা-মামা সাফ জানিয়ে দেন এ চিঠি তাঁদের ছেলের লেখা নয়। তাতেই আরও বাড়ে সন্দেহ। তবে কী রুদ্রকে ফাঁসানোর জন্যই কেউ ইচ্ছা করে ওই চিঠি লিখেছিল। পরবর্তীতে পুলিশি জেরার পর জানা যায় ওই চিঠি ধৃত দীপশেখরের লেখা। তবে সই নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।
প্রসঙ্গত, যাদবপুরকাণ্ডে প্রাক্তনী ও বর্তমান পড়ুয়া মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন ১৩ জন পড়ুয়া। সূত্রের খবর, এরমধ্যে বেশিরভাগই যাদবপুরের একাধিক স্বাধীন সংগঠনের সদস্য। ধৃত সৌরভ চৌধুরী উই দ্য ইন্ডিপেডেন্ট বা WTI এর সদস্য বলে জানা যায়। এই WTI সায়েন্স ফ্যাকাল্টিতে ইউনিয়নের ক্ষমতায় রয়েছে। অন্যদিকে রুদ্র আবার এসএফআই নেতা। এই এসএফআই আবার আর্টস ফ্যাকাল্টিতে ইউনিয়নের ক্ষমতায় রয়েছে। তাই শুরু থেকেই এ ঘটনায় জোরালো হয় রাজনীতির গন্ধ। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত তদন্তের গতিপ্রকৃতি কোনদিকে যায়।