কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মদ-গাঁজা খাওয়ার অভিযোগ আগেই উঠেছিল। প্রশ্ন উঠেছিল পর্যাপ্ত নজরদারির। পড়ুয়া মৃত্যুর পর থেকে তদন্তের গতি যত বেড়েছে প্রতিদিন উঠে এসেছে একের পর এক তথ্য। এবার তদন্ত করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেল যাদবপুর থানার পুলিশ। অভিযোগ, গাঁজার চাষ হত মেইন হস্টেলের এ২ ব্লকে। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইলে পাওয়া ছবি থেকেই জানা গিয়েছে গাঁজা চাষের খবর।
পুলিশ সূত্রে খবর, গাঁজা চাষ করা হত মেইন হস্টেলের এ২ ব্লকের বারান্দায় রাখা টবের মধ্যে। অভিযুক্তদের ফোনে তোলাও ছিল সেই ছবি। মৃত্যুর ঘটনার পর গাঁজা চাষের ছবি মোবাইল থেকে ডিলিট করা হয়েছিল বলে জানায় তদন্তকারী আধিকারিকরা। তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেন অভিযুক্তরা। সেই কারণে তদন্তের স্বার্থে পুলিশ মেইন হস্টেলে গিয়েও কোনও গাঁজা গাছের হদিশ পায়নি। কিন্তু ধৃতদের মোবাইল ঘেঁটে ডেটা রিকভারিতে করা হয়। আর তারপরই গাঁজা চাষের হদিশ পায় পুলিশ।
মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল ১০৪ নম্বর ঘরের ২ জনকে। বুধবার ডাকা হয় মেস কমিটির ৪ জনকে। তৃতীয় বর্ষের ৩ জন পড়ুয়াকে। জানা গিয়েছে, অরিত্র মজুমদারকে দরকার হলে আবারও ডাকতে পারে পুলিশ। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তদন্তকারীরা। তদন্তে উঠে এসেছে একটি হোয়্যাটস অ্যাপ গ্রুপও। যার নাম জেইউ এমএইচ (JU MH)। এটি অনেক পুরানো গ্রুপ বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রুপে সৌরভের খুব কাছের লোকজন ছিল। তবে সদস্য সংখ্যা বেশি ছিল না। ঘটনার দিন জিবিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট গ্রুপটিকে ডিলিট করার।