কলকাতা: ‘আমি চাই অবিলম্বে দোষীরা চিহ্নিত হোক। উপযুক্ত শাস্তি পাক। এই মুহূর্তে যেহেতু তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে তাই এর থেকে বেশি আমার আর কিছু বলার নেই। আমার যা বলার আমি তদন্ত কমিটিকে বলেছি। আমার কাছে যা যা ডকুমেন্ট চাওয়া হয়েছে আমি দিয়েছি। আগামীতেও যা যা ডকুমেন্ট চাওয়া হবে দেব।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির কাছে হাজিরা দিয়ে এর থেকে একটাও বেশি শব্দ খরচ করতে চাইলেন না ফেটসুর ছাত্র নেতা অরিত্র মজুমদার ওরফে আলু। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারে যে সই রয়েছে সেই সই তাঁর কি না, নাকি অন্য কেউ করে দিয়েছে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও নীরব থেকেছেন অরিত্র। তাতেই ঘনাচ্ছে আরও রহস্য। এদিকে ইতিমধ্যেই যাদবপুরকাণ্ডের তদন্তে মেইন হস্টেলের সাত কর্মীকে তলব করেছে পুলিশ। ডাকা হয়েছে রাঁধুনিকেও। সূত্রের খবর, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই ঘটনাস্থলে আলুর উপস্থিতি ছিল কি না তা নিশ্চিত হতে চাইছেন তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হওয়া ১৩ জনের বয়ান।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতেই যাদবপুর থানায় ডাক পড়ে ফেটসু নেতা অরিত্র ও গৌরবের। একইসঙ্গে ডাকা হয়েছিল এসএফআই নেতা রুদ্র চট্টোপাধ্যায়কে। রুদ্রকে আগে ছাড়া হলেও মধ্যরাত পেরিয়ে গেলেও ছাড়া পাননি অরিত্ররা। তাতেই বাড়ছিল জল্পনা। যদিও শেষ পর্যন্ত গৌরব ও অরিত্র দু’জনকেই জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয় পুলিশ। এদিকে মঙ্গলবার বিকালেই আবার অরিত্রকে ডেকে পাঠিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি। সেই ডাকে সাড়া দিয়েই বুধবারে যাদবপুরে যান অরিত্র।
এদিকে ঘটনার পরই দিনই ভ্রমণের উদ্দেশে কাশ্মীর চলে গিয়েছিলেন তিনি। আগেই একাধিকবার এ দাবি করেছেন অরিত্র। প্রকাশ্যে এনেছেন টিকিট। কিন্তু, ঘটনার পরের কয়েকটা দিনও রেজিস্টার খাতায় তাঁর সই কোথা থেকে এল তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। এ নিয়ে এদিন মুখে কুলুপই রইল অরিত্রর। সূত্রের খবর, তদন্ত কমিটিকে অরিত্র বলেছেন, তিনদিনের সই একসঙ্গে করতে গিয়ে ভুল করে সই করেছি। ওই রাতে সৈকত শিটের মেসে গিয়েছিলাম। হস্টেলে যাইনি। একইসঙ্গে কাশ্মীর যাওয়ার বোর্ডিং পাস তদন্ত কমিটিকে তিনি দেখিয়েছেন বলে খবর।