বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র নির্বাচনের ফলাফল
Shantanu Thakur |
719505 |
BJP |
Won |
Biswajit Das S/O Late Bijay Krishna Das |
645812 |
TMC |
Lost |
Pradipkumar Biswas |
65176 |
INC |
Lost |
Dipak Majumdar |
19216 |
AISF |
Lost |
Sujata Bairagi |
9653 |
IND |
Lost |
Jashajit Sarkhel |
7833 |
IND |
Lost |
Chandan Mallick |
5935 |
BSP |
Lost |
Sumita Poddar |
2354 |
IND |
Lost |
Pranita Mandal |
2411 |
IND |
Lost |
Biswajit Das S/O Late Balaram Das |
2248 |
IND |
Lost |
Patit Paban Mandal |
2169 |
SUCI |
Lost |
Samaresh Biswas |
1565 |
PDS |
Lost |
Biswajit Das |
1272 |
IND |
Lost |
Kalyan Sarkar |
691 |
IND |
Lost |
Subrata Biswas |
583 |
GCSD |
Lost |
বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র। বাংলার ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে অন্যতম চর্চিত একটি লোকসভা আসন হল বনগাঁ। বর্তমানে এখানকার সাংসদ ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য শান্তনু ঠাকুর। তিনি আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও বটে। মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক বরাবর বনগাঁ লোকসভা নির্বাচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে এসেছে। রাজনীতির সমীকরণেও মতুয়া ভোটব্যাঙ্কে দু'টি ভাগ রয়েছে। বিজেপিরও যেমন ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে এখানে, তেমনই রয়েছে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কও। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে চর্চা শুরু হওয়ার পর থেকে এই বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে মতুয়া ভোটব্যাঙ্কের গুরুত্ব আরও বেড়েছে। বিজেপির ঘাঁটি বনগাঁ বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে মোট সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র। যার মধ্যে আছে বনগাঁ উত্তর, বনগাঁ দক্ষিণ, বাগদা, গাইঘাটা, স্বরূপনগর, কল্যাণী ও হরিণঘাটা। একুশের বিধানসভা ভোটের হিসেবে দেখলে, এই বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে শুধুই গেরুয়া আবির উড়েছিল। একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল স্বরূপনগর, সেখানে সবুজ ধ্বজা ওড়াতে সফল হয়েছিল তৃণমূল। বাকি সব জায়গাতেই বিজেপিই জিতেছিল। যদিও বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বিজেপির টিকিটে জিতেও পরে তৃণমূল শিবিরে চলে যান। মতুয়া ও ঠাকুরবাড়ি বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের রাজনীতি, বিশেষ করে ভোট রাজনীতি বার বার আবর্তিত হয়েছে ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িকে কেন্দ্র করে। এককালে এই ঠাকুরবাড়ির সদস্যরা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেখানেও বিভাজন এসেছে। এখন ঠাকুরবাড়িতে মমতাবালা ঠাকুরের গোষ্ঠী রয়েছে তৃণমূলের সমর্থনে। আবার শান্তনু ঠাকুরের গোষ্ঠী রয়েছে বিজেপির সমর্থনে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, কীভাবে বনগাঁর লোকসভা ভোটের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে গেল ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে অবশ্য ঠাকুরবাড়ির সদস্য কাউকে প্রার্থী করা হয়নি। সেই বার তৃণমূল প্রার্থী করেছিল পোড় খাওয়া অভিজ্ঞ রাজনীতিক গোবিন্দচন্দ্র নস্করকে। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক ২০২২ সালে প্রয়াত হয়েছেন। দুঁদে গোবিন্দ নস্কর অতীতে সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের মন্ত্রিসভাতেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছিলেন। সেই অভিজ্ঞতাকেই ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে বনগাঁয় ব্যবহার করেছিল তৃণমূল। সাফল্যও পেয়েছিল। ৫ লাখ ৪৬ হাজার ভোট পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের অসীম বালা পেয়েছিলেন সাড়ে চার লাখের কিছু বেশি ভোট। বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণপদ মজুমদার সেই সময় পেয়েছিলেন ৪২ হাজার ৬১০ ভোট। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোট এরপর ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের সময় থেকেই ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায় বনগাঁর লোকসভা ভোটের রাজনীতি। মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরকে প্রার্থী করে তৃণমূল। সাড়ে পাঁচ লাখেরও বেশি ভোট পান তিনি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের দেবেশ দাস পেয়েছিলেন চার লাখের কিছু বেশি ভোট। মোদী ম্যাজিকের হাত ধরে লোকসভা ভোটে বনগাঁতেও শক্তি বাড়িয়েছিল বিজেপি। ২ লাখ ৪৪ হাজার ভোট পেয়েছিলেন বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী কে ডি বিশ্বাস। কংগ্রেস ছিল চতুর্থ স্থানে, পেয়েছিল ৫০ হাজারেরও কম ভোট। ২০১৫ সালের উপনির্বাচন কিন্তু কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর সাংসদ থাকাকালীনই প্রয়াত হন এবং ২০১৫ সালে এখানে আবার লোকসভা উপনির্বাচন হয়। এবার তৃণমূল ফের বেছে নেয় ঠাকুরবাড়ির মমতাবালা ঠাকুরকে। প্রায় ৫ লাখ ৪০ হাজার ভোট পান তিনি। সিপিএমের দেবেশ দাস পান ৩ লাখ ২৮ হাজার ভোট। উপনির্বাচনে বিজেপি এবার প্রার্থী করে সুব্রত ঠাকুরকে। তিনি বিজেপির প্রাপ্ত ভোট আরও বাড়িয়ে তোলেন এবং অল্পের জন্য দ্বিতীয় স্থান টিকে যায় বামেদের। বিজেপির সুব্রত ঠাকুর পেয়েছিলেন ৩ লাখ ১৪ হাজার ভোট। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট বিজেপি যে বনগাঁয় নিজেদের শক্তি বাড়াচ্ছে তা ২০১৪ সালের ভোট এবং ২০১৫ সালের উপনির্বাচনের পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট। এরপর ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী করে ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ির আরও এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য শান্তনু ঠাকুরকে। একদিকে তৃণমূলের মমতাবালা ঠাকুর, অন্যদিকে বিজেপির শান্তনু ঠাকুর। ভোটে মমতাবালা ঠাকুরকে এক লাখেরও বেশি ভোটে হারিয়ে বনগাঁর সাংসদ হন শান্তনু ঠাকুর। তিনি পান ৬ লাখ ৮৭ হাজার ভোট। মমতাবালা ঠাকুর পেয়েছিলেন ৫ লাখ ৭৬ হাজার ভোট। সিপিএমের প্রাপ্ত ভোট ১ লাখেরও নীচে নেমে যায়। আর কংগ্রেস পেয়েছিল ২২ হাজারের কিছু বেশি ভোট। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট এবার সামনে আরও একটা লোকসভা নির্বাচন। এবারও লড়াই মূলত দ্বিমুখী। তৃণমূল বনাম বিজেপি। তবে এবার আর মমতাবালাকে প্রার্থী করেনি তৃণমূল। সম্প্রতি মমতাবালাকে রাজ্যসভার সাংসদ করেছে তৃণমূল। আর বিজেপির শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে এবার তৃণমূলের বাজি বিশ্বজিৎ দাস। এবার আর ঠাকুরবাড়ির কোনও সদস্যকে নয়, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসা বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎকেই শান্তনুর বিরুদ্ধে প্রার্থী করছে তৃণমূল। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত বনগাঁ থেকে শেষ হাসি হাসে কোন দল।
Disclaimer : “The information and data presented on this website, including but not limited to results, electoral features, and demographics on constituency detail pages, are sourced from various third-party sources, including the Association for Democratic Reforms (ADR). While we strive to provide accurate and up-to-date information, we do not guarantee the completeness, accuracy, or reliability of the data. The given data widgets are intended for informational purposes only and should not be construed as an official record. We are not responsible for any errors, omissions, or discrepancies in the data, or for any consequences arising from its use. To be used at your own risk.”