কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র নির্বাচনের ফলাফল
Jagadish Chandra Barma Basunia |
788375 |
TMC |
Won |
Nisith Pramanik |
749125 |
BJP |
Lost |
Nitish Chandra Roy |
30267 |
AIFB |
Lost |
Piya Roy Chowdhury |
10679 |
INC |
Lost |
Harekrishna Sarkar |
9467 |
IND |
Lost |
Kamalesh Barman |
2993 |
IND |
Lost |
Nabi Barman |
2724 |
IND |
Lost |
Subodh Barman |
2599 |
IND |
Lost |
Dilip Chandra Barman |
2468 |
SUCI |
Lost |
Bidhan Das |
2072 |
IND |
Lost |
Purna Mohan Roy |
2097 |
BSP |
Lost |
Kishore Ray |
1606 |
IND |
Lost |
Pradip Kumar Roy |
1518 |
KPP(U) |
Lost |
Amal Das |
1495 |
IND |
Lost |
তিন দশকের বেশি সময় ধরে এই কেন্দ্র ছিল ফরওয়ার্ড ব্লকের হাতে। রাজ্যে পালাবদল হওয়ার পর এই কেন্দ্রেও হয় পালা বদল। আর এখন বদলেছে সেই ছবিটাও। বর্তমানে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই কেন্দ্র। ওই কেন্দ্রের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক বর্তমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ২০১৯-এ জয়ী হয়ে ওই কেন্দ্রের সাংসদ হয়েছেন নিশীথ। তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই গেরুয়া-ঘাঁটি হয়ে উঠেছে কোচবিহার। এবারও সেই কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটে লড়বেন নিশীথ। অন্যদিকে তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন সিতাই কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বাসুনিয়া। কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র। সেই কেন্দ্রগুলি হল মাথাভাঙা, কোচবিহার উত্তর, কোচবিহার দক্ষিণ, শীতলকুচি, সিতাই, দিনহাটা ও নাটাবাড়ি। সিতাই বাদে বাকি কেন্দ্রগুলি রয়েছে বিজেপির হাতেই। তবে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে বামেরা। ২০০৯ সালের লোকসভা ভোট ২০০৯ সালেও এই কেন্দ্র ছিল ফরওয়ার্ড ব্লকের হাতে। নৃপেন্দ্র নাথ রায় জয়ী হয়েছিলেন এই কেন্দ্র থেকে। ৫ লক্ষ ৮ হাজার ৬৭৭টি ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে ছিল তৃণমূল। প্রার্থী অর্ঘ রায় বর্মনের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৪ লক্ষ ৬৬ হাজার ৯২৮। আর বিজেপি ছিল অনেকটাই পিছনে। তৃতীয় স্থানে থাকা বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ৬৫ হাজার ভোট। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোট ২০১৪ লোকসভা নির্বাচন ২০১১ তেই রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। এর প্রভাবেই পালাবদল হয় কোচবিহারে। তৃণমূল প্রার্থী রেনুকা সিনহা জয়ী হন ওই কেন্দ্র থেকে। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৪৯৯। ফরওয়ার্ড ব্লক চলে যান দ্বিতীয় স্থানে। প্রার্থী দীপক কুমার রায় পেয়েছিলেন ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ৩৯২। বিজেপি-র প্রার্থী ছিলেন হেমচন্দ্র বর্মণ। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ২ লক্ষ ১৭ হাজার ৬৫৩টি। ২০১৬ উপ নির্বাচন লোকসভা ভোটের কিছুদিন পর মৃত্যু হয় রেনুকা সিনহার। এরপর ২০১৬ সালে হয় উপনির্বাচন। সেই ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের পার্থপ্রতিম রায়। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট ২০১৯-এই বদলে যায় ছবিটা। নিশীথ প্রামাণিক ততদিনে বিজেপির সংগঠন পোক্ত করে ফেলেছেন। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে নিশীথের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৭ লক্ষ ৩১ হাজার ৫৯৪। ৬ লক্ষ ৭৭ হাজার ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তৃণমূলের পরেশ অধিকারী, আর ফরওয়ার্ড ব্লকের ভোট কমে যায় আরও। গোবিন্দ চরণ রায়ের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৪৬ হাজার ৬৪৮। এবার আরও একটা লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। ঘাঁটি ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। তবে তৃণমূলও লড়াই করবে শক্ত হাতেই। ভুলে গেলে চলবে না বামেদের একসময় সংগঠন ছিল মজবুত। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত এই কেন্দ্রটি ছিল ফরওয়ার্ড ব্লকের হাতে। ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস দখল করে কোচবিহার। পরে ফের কেন্দ্রটি যায় ফরওয়ার্ড ব্লকের হাতে। ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। ১৯৭৭ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল ফরওয়ার্ড ব্লক। ফরওয়ার্ড ব্লকের অমরেন্দ্র রায় প্রধান পরপর আটবার সাংসদ হয়েছিলেন। এই কেন্দ্রে মোট বুথের সংখ্যা ২০১০ টি।
Disclaimer : “The information and data presented on this website, including but not limited to results, electoral features, and demographics on constituency detail pages, are sourced from various third-party sources, including the Association for Democratic Reforms (ADR). While we strive to provide accurate and up-to-date information, we do not guarantee the completeness, accuracy, or reliability of the data. The given data widgets are intended for informational purposes only and should not be construed as an official record. We are not responsible for any errors, omissions, or discrepancies in the data, or for any consequences arising from its use. To be used at your own risk.”