হুগলি লোকসভা কেন্দ্র নির্বাচনের ফলাফল
Rachna Banerjee |
702744 |
TMC |
Won |
Locket Chatterjee |
625891 |
BJP |
Lost |
Manadip Ghosh |
139919 |
CPM |
Lost |
Surajit Hembram |
9268 |
IND |
Lost |
Samim Ali Mollick |
6567 |
IND |
Lost |
Jamini Bhar |
4718 |
BSP |
Lost |
Ajanta Sarkar |
3639 |
BHNJD |
Lost |
Sk Kamaluddin |
2766 |
IND |
Lost |
Sanchita Bera |
2649 |
IND |
Lost |
Paban Mazumder |
2380 |
SUCI |
Lost |
Pradip Pal |
2220 |
BNARP |
Lost |
Mrinal Kanti Das |
1398 |
IND |
Lost |
এক সময় হুগলি লোকসভা কেন্দ্র ছিল সিপিআইএম-এর ঘাঁটি। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, ছিল রুপচাঁদ পালের গড়। মাঝে একবার ছাড়া, ১৯৮০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এই কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন তিনি। এরপর, তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ঘুরে বর্তমানে এই লোকসভা কেন্দ্র এখন বিজেপির দখলে। বর্তমান সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। মজার বিষয় হল, ১৯৫১ সালের প্রথম নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার প্রার্থী এন.সি চট্টোপাধ্যায়। এই লোকসভা কেন্দ্রে কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে মোট সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র - সিঙ্গুর, চন্দননগর, চুঁচুড়া, বলাগড়, পান্ডুয়া, সপ্তগ্রাম, ও ধনেখালি। লোকসভা কেন্দ্রটি বিজেপির দখলে থাকলেও, একুশের বিধানসভা ভোটে এই সাত বিধানসভা কেন্দ্রেই উড়েছে সবুজ আবির। কাজেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে, বিজেপি এই আসন ধরে রাখতে পারে, নাকি ফিরবে ঘাসফুল, সেই দিকেই নজর থাকবে সকলের। ২০০৯-এ পরিবর্তন আগেই বলা হয়েছে, হুগলি ছিল বামেদের ঘাঁটি। ১৯৫৭ থেকে ১৯৬৭ পর্যন্ত এই কেন্দ্র ছিল অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির দখলে। তারপর থেকে উড়েছে সিপিএম-এর পতাকা। প্রথমে বিজয়কৃষ্ণ মোদক, তারপর থেকে রূপচাঁদ পাল। শুধু ১৯৮৪ সালের নির্বাচনে রূপচাঁদ পালকে পরাজিত করেছিলেন কংগ্রেসের ইন্দুমতী ভট্টাচার্য। কিন্তু, ২০০৮ সাল থেকেই হাওয়া ঘুরতে শুরু করেছিল পশ্চিমবঙ্গে। পরিবর্তন আঁচ করতে পারছিলেন মানুষ। সেই পরিবর্তনের হাওয়াতেই, ২০০৯ সালের নির্বাচনে রূপচাঁদকে সিংহাসন থেকে সরিয়ে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের রত্না দে নাগ। ৫ লক্ষ ৭৪ হাজারের বেশি ভোট পয়েছিলেন তিনি। আর এই কেন্দ্রের ৭ বারের সাংসদ রূপচাঁদ পাল পেয়েছিলেন ৪ লক্ষ ৯২ হাজার ৪৯৯ ভোট। অর্থাৎ, জয়ের ব্যবধান ছিল ১ লক্ষের কম। মাত্র ৩৯,৭৮৪ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে ছিলেন বিজেপির চুনীলাল চক্রবর্তী। তৃণমূলের সঙ্গে জোটে থাকায়, প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস। বিজেপির উত্থান ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই আসন শুধু ধরে রাখেননি তৃমমূলের রত্না দে নাগ, বরং জয়ের ব্যবধান আরও বাড়িয়েছিলেন। তিনি পেয়েছিলেন ৬ লক্ষ ১৪ হাজার ৩১২টি ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তখনও পর্যন্ত ছিল সিপিআইএম। রূপচাঁদ পালের দীর্ঘদিনের জমানার অবসান ঘটিয়ে, এবার এখানে তারা প্রার্থী করেছিল প্রদীপ সাহাকে। তিনি পেয়েছিলেন ৪ লক্ষ ২৫ হাজারের কিছু বেশি ভোট। তবে, 'মোদী হাওয়া'য় অনেকটা ভোট বাড়িয়ে নিয়েছিল বিজেপি। তারা প্রার্থী করেছিল বিশিষ্ট সাংবাদিক চন্দন মিত্রকে। তৃতীয় স্থানে থাকা চন্দন মিত্র পেয়েছিলেন ২ লক্ষ ২১ হাজার ২৭১ ভোট। কংগ্রেস প্রার্থী প্রীতম ঘোষ পেয়েছিলেন ৪২,২২৬ ভোট। আবার পরিবর্তন ২০১৯ সালে ফের একবার ক্ষমতার রঙ বদলের সাক্ষী হয় হুগলি লোকসভা কেন্দ্র। বলা যেতে পারে, এই কেন্দ্রে বামের ভোট রাম শিবিরে যাওয়ার ছবি একেবারে স্পষ্ট। তৃণমূল কংগ্রেসের রত্না দে নাগ পেয়েছিলেন ৫ লক্ষ ৯৮ হাজারের বেশি ভোট। আর জয়ী বিজেপি প্রার্থী, লকেট চট্টোপাধ্যায় পেয়েছিলেন ৬ লক্ষ ৭১ হাজার ৪৪৮ ভোট। এবারও এই কেন্দ্রে প্রদীপ সাহাকেই প্রার্থী করেছিল সিপিআইএম। ৪ লক্ষ ভোট থেকে কমে, তাঁর প্রাপ্ত ভোট দাঁড়ায় ১ লক্ষ ২১ হাজার ৫৮৮-তে। কংগ্রেস প্রার্থী প্রতুল সাহা পান ২৫,৩৭৪ ভোট। এবার সামনে আরও একটি লোকসভা নির্বাচন। দীর্ঘদিন বামেদের উপর ভরসা রেখেছিল হুগলি। তারপর তৃণমূল, তারপর বিজেপি। বেশ কয়েকবার পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে এই কেন্দ্র। লোকসভায় হারের পর, রত্না দে নাগ এখন বিধানসভায় চলে গিয়েছেন। এবার লোকসভা ভোটে হুগলিতে অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। এক সময়ের বাম দুর্গ হুগলিতে এবারও লড়াইটা মূলত দুই ফুলের। ফের পদ্ম ফুটবে, না বিধানসভার মতো জোড়া ফুলেই আস্থা রাখবেন জেলার মানুষ, এখন সেটাই দেখার।
Disclaimer : “The information and data presented on this website, including but not limited to results, electoral features, and demographics on constituency detail pages, are sourced from various third-party sources, including the Association for Democratic Reforms (ADR). While we strive to provide accurate and up-to-date information, we do not guarantee the completeness, accuracy, or reliability of the data. The given data widgets are intended for informational purposes only and should not be construed as an official record. We are not responsible for any errors, omissions, or discrepancies in the data, or for any consequences arising from its use. To be used at your own risk.”