Union Budget 2023: কৃষিতে স্টার্টআপ থেকে উৎকর্ষ কেন্দ্র, ন্যাচরাল ফার্মিং; খামারে আগামীর দিশা দেখালেন নির্মলা
Union Budget: গতবছর যা ছিল প্রায় ১.১০ লাখ কোটি, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে প্রায় ১.১৫ লাখ কোটি। গতবারের তুলনায় প্রায় ৪.৬ শতাংশ বেশি।
নয়া দিল্লি: কেন্দ্রীয় বাজেট (Union Budget 2023) প্রস্তাব পাঠ করার সময় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman) জানিয়েছেন, দেশ যখন স্বাধীনতার একশো বছরে পা রাখবে, তখন ভারত কেমন হবে, তার নীলনকশা হল এই বাজেট। এবারের ৮৭ মিনিটের বাজেট পাঠে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে দেশের যুব সমাজ, মহিলা, কৃষক, তফসিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত সম্প্রদায় ও পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়। এবারে কেন্দ্রীয় বাজেটে কৃষি মন্ত্রকের জন্য বরাদ্দও গত বছরের তুলনায় বাড়ানো হয়েছে। গতবছর যা ছিল প্রায় ১.১০ লাখ কোটি, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে প্রায় ১.১৫ লাখ কোটি। গতবারের তুলনায় প্রায় ৪.৬ শতাংশ বেশি।
এবারের বাজেট প্রস্তাব পাঠের সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন এগ্রিকালচার অ্যাক্সিলেরেশন ফান্ড তৈরির কথা। নির্মলা সীতারামনের কথায়, কৃষকরা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হন, সেই সমস্যার মোকাবিলা করতে এবং তার সমাধান সূত্র বের করাই হবে এই বিশেষ ফান্ডের লক্ষ্য। এর পাশাপাশি কৃষিজাত স্টার্টআপের জন্য একটি ফান্ডও তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ওপেন সোর্স, ওপেন স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে তৈরি হবে ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্টাকচার ফর এগ্রিকালচার। কৃষি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য, ক্রেডিট , ইন্সুরেন্স, মার্কেট ইন্টেলিজেন্স ও স্টার্টআপের ক্ষেত্রে সাহায্য মিলবে এতে। জোর দেওয়া হয়েছে কৃষিজাত উৎপাদন বৃদ্ধি, লাভ বৃদ্ধির উপরেও।
তুলো উৎপাদনের উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। তুলো উৎপাদন বাড়ানোর জন্য পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে কাজ করা হবে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, এর ফলে প্রশাসন ও শিল্পের সঙ্গে কৃষকদের সমন্বয় আরও ভাল হবে এবং মার্কেটে সংযোগস্থাপন আরও বাড়বে। মিলেট জাতীয় শস্যের জন্য একটি উৎকর্ষ কেন্দ্রও স্থাপন করার কথা বলেন নির্মলা সীতারামন। বললেন, হায়দরাবাদের অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব মিলেট রিসার্চকে উৎকর্ষ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এদিন মিলেট জাতীয় শস্যকে ‘শ্রী অন্ন’ বলতেও শোনা যায় অর্থমন্ত্রীকে। বললেন, ‘আমাদের দেশ ‘শ্রী অন্ন’ উৎপাদনে বিশ্বে প্রথম এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রী অন্ন রফতানিকারক দেশ। মিলেট উৎপাদনে দেশের ছোট ছোট কৃষকদের অবদানের কথাও এদিন উঠে আসে তাঁর গলায়। নির্মলা বললেন, ‘এবার ভারতে শ্রী অন্নর গ্লোবাল হাব হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
পশুপালন, দুগ্ধ ও মৎসচাষের ক্ষেত্রে কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রার পরিমাণও ২০ লাখ কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর কথা বলেন নির্মলা সীতারামন। ন্যাচরাল ফার্মিং-এর উপর জোর দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। বাজেট প্রস্তাব পাঠের সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, ন্যাচরাল ফার্মিংয়ের জন্য আগামী তিন বছরে ১০ হাজার ভারতীয় প্রাকৃতিক খেতি বায়ো-ইনপুট রিসোর্স সেন্টার তৈরি করা হবে। এতে প্রায় ১ কোটি কৃষক উপকৃত হবেন বলে মত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর। গোটা দেশে ৫০০ বায়ো গ্যাস প্ল্যান্ট তৈরির লক্ষ্যমাত্রার কথাও বলেন তিনি।
নির্মলা সীতারামন এদিন দেশের ছোট কৃষকদের জন্য সমবায় ভিত্তিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথাও বলেন। বললেন, ‘সরকার ইতিমধ্যেই ৬৩ হাজার ক্রেডিট সোশ্যাইটির কম্পিউটারাইজড করেছে। ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ ডেটা বেস তৈরি করা হচ্ছে। আমরা ডি-সেন্ট্রালাইজড স্টোরেজ ক্য়াপাসিটি শুরু করব। এতে কৃষকরা খাদ্যশস্য সংগ্রহ করতে পারবেন এবং সঠিক সময়ে সঠিক দামে ফসল বিক্রি করতে পারবেন।’ এর পাশাপাশি আগামী ৫ বছরে সরকার মাল্টিপারপস ফিশারি, ডেয়ারি কো-অপারেটিভ সোশ্যাইটি তৈরিতেও সাহায্য করবে বলে জানান তিনি।