Telangana Excise department: এক ফোঁটা মদ বিক্রি না করেই আবগারি দফতরের আয় ২৬০০ কোটি টাকার বেশি
Liquor মদ বিক্রি না করেই রাজ্যের আয় হয়েছে ২৬৩৯ কোটি টাকা। সম্প্রতি ২৬২০টি মদের দোকান বরাদ্দের জন্য প্রায় ১.৩২ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। তার থেকেই অফেরতযোগ্য ফি বাবদ আবগারি দফতরের বিপুল পরিমাণ আয় হয়েছে।
হায়দরাবাদ: মদ বিক্রি করেই রাজ্যে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আসে। এমনই ধারণা প্রচলিত রয়েছে। তবে এই ধারণার কিছুটা বাইরে গিয়ে নজির গড়ল তেলঙ্গানা (Telangana)। এক ফোঁটা মদ বিক্রি না করেই তেলঙ্গানার আয় ২৬০০ কোটি টাকার বেশি। সম্প্রতি প্রকাশিত তেলঙ্গানা সরকারের আবগারি দফতরের (Excise department) রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। মদ বিক্রি না করে এরকম আয় আগে কখনও হয়নি বলে রাজ্য প্রশাসনের দাবি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মদ বিক্রি না করেই রাজ্যের আয় হয়েছে ২৬৩৯ কোটি টাকা। সম্প্রতি ২৬২০টি মদের দোকান বরাদ্দের জন্য প্রায় ১.৩২ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। তার থেকেই অফেরতযোগ্য ফি বাবদ আবগারি দফতরের বিপুল পরিমাণ আয় হয়েছে।
যারা ইতিমধ্যে মদের দোকানের লাইসেন্স পেয়েছেন তাঁদের প্রতি বছর ফি বাবদ ৫০ লক্ষ থেকে ১.১ কোটি টাকা দিতে হয়। বার্ষিক লাইসেন্স ফি-র এক-ষষ্ঠাংশ ২৩ অগস্টের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়। তবে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ফি নির্ভর করে। যেমন, ৫০০০ জনসংখ্যা বিশিষ্ট অঞ্চলে ফি দিতে হয় ৫০ টাকা। আবার ২০ লক্ষ জনসংখ্যা বিশিষ্ট অঞ্চলে বার্ষিক ১.১ কোটি টাকা ফি দিতে হয়। যদিও মদ ব্যবসায়ীর লভ্যাংশের তুলনায় এই ফি খুবই কম। সুরা ব্যবসায়ীরা সাধারণ ব্র্যান্ডের উপর ২৭ শতাংশ এবং প্রিমিয়াম জাতের মদের উপর ২০ শতাংশ উপার্জন করতে পারে। আবার পিছিয়ে পড়া ক্ষেত্রের জন্য ৩০ শতাংশ অর্থাৎ ৭৮৬টি লাইসেন্স সংরক্ষিত রয়েছে ।
বছর দুয়েক আগেও কেবল মদের দোকানের লাইসেন্সের আবেদন থেকে সরকারের বিপুল আয় হয়েছিল। সেবার ৬৯ হাজার আবেদন পত্র থেকে আয় করেছিল ১৩৭০ টাকা। এবছর সেই আয় টপকে গিয়েছে। তেলঙ্গানায় মদ বিক্রি থেকে আয় বেড়েছে। ২০১৫-১৬ সালে যেখানে এই রাজ্যে মদ বিক্রি থেকে সরকারের রাজস্ব ছিল ১২,৭০৩ কোটি টাকা, ২০২১-২২ সালে সেটা বেড়ে হয়েছে ২৫,৫৮৫ টাকা। আবার গত এক বছরে এই আয় বেড়ে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে শুধু তেলঙ্গানা নয়, অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারও কেবল মদের দোকানের আবেদন পত্র থেকে মোটা অঙ্কের আয় করেছে।