Share Market Tips: শেয়ার বাজারে ভাল ট্রেডার হতে চান? মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি, অল্প সময়েই হতে পারেন ধনবান
Share Market Tips:শেয়ার বাজার সম্পর্কে যত বেশি জানবেন, ততই ভাল ট্রেডার হবেন। আপনি বই পড়ে, অনলাইন কোর্স করে এবং ট্রেডিং বিষয়ক ওয়েবসাইট এবং ব্লগ পড়ে শেয়ার বাজার সম্পর্কে শিখতে পারেন।
কলকাতা: বর্তমানে শেয়ারে বিনিয়োগ (Share Market Investment) করে একটা অংশের মানুষ যেমন বাড়তি উপার্জন করতে চান, তেমনই অনেকেই রয়েছেন যাঁরা এই শেয়ার মার্কেটকেই তাঁদের কেরিয়ার গড়ে তুলতে চান। কিন্তু, শেয়ার বাজারে ভাল ট্রেডার হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। ধরতে হবে ধৈর্য, ঠিক করতে হবে লক্ষ্য, ঝুঁকি নিতে হবে সময় বুঝে। আজ এমনই বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব আমরা। যেগুলি মাথায় রাখলে আপনি নতুন নতুন শেয়ার বাজারে এলেও অল্প দিনের মধ্যেই একজন বড় ট্রেডার হয়ে উঠতে পারবেন।
আপনার লক্ষ্য ঠিক করুন
আমরা যখন মার্কেটে নিজেদের জার্নি শুরু করি তখন অনেকের মধ্যে খুবই উচ্চাকাঙ্খা দেখা যায়। অল্প সময়েই বড় লাভ ঘরে তুলতে সচেষ্ট হয়ে পড়েন অনেকে। অনেকেই এই লোভের ফাঁদে পড়ে অল্প দিনেই সর্বস্ব খুইয়ে পথে বসেন। তাই আপনি কেন শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করছেন? আপনি কী শেয়ার বাজারকে আপনার ব্যবসার মাধ্যম হিসাবে দেখতে পারছেন? আপনি কী একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিনিয়োগ করছেন? আগে নিজের কাছে এই উত্তরগুলি নিজেই দিন। তাহলে সহজেই আপনি আপনার পোর্টফোলিওকে সেভাবে তৈরি করতে পারবেন। এড়াতে পারবেন বড় ঝুঁকি।
শুরুতেই ঝুঁকি নেবেন না
শুরুতেই বড় অঙ্কের টাকা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবেন না। আপনার ট্রেডিং কেরিয়ার শুরু সময় সর্বদা অল্প টাকা দিয়ে শুরু করুন। কারণ, হাতেখড়ির সময় ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। তাই লোকসান হলেও বিনিয়োগ কম থাকলে লোকসানের মাত্রাও কম হবে। ১ থেকে ২ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করুন বিনিয়োগ। সেখান থেকে যে লাভ করতে পারবেন সেটাই আবার পরের বিনিয়োগে লাগিয়ে ধীরে ধীরে নিজের পোর্ট ফোলিওকে বড় করুন।
শেয়ার বাজার সম্পর্কে শিখুন
শেয়ার বাজার সম্পর্কে যত বেশি জানবেন, ততই ভাল ট্রেডার হবেন। আপনি বই পড়ে, অনলাইন কোর্স করে এবং ট্রেডিং বিষয়ক ওয়েবসাইট এবং ব্লগ পড়ে শেয়ার বাজার সম্পর্কে শিখতে পারেন। তাই এই জায়গাগুলি থেকেও আপনি জ্ঞান আহরোন করতে পারেন।
অপশন ট্রেডিং থেকে শুরুতে দূরে থাকুন
বর্তমানে অনেকেই বিনিয়োগের শুরুতে ইন্ট্রাডে ট্রেডিং, ফিউচার অ্যান্ড অপশন ট্রেডিং করতে শুরু করে দেন। বড় লাভের আশাতেই এমনটা করেন। কিন্তু, এতে ঝুঁকি অনেক বেশি। লোকসানের সম্ভাবনাও অনেক বেশি। তাই আপনি কতটা ঝুঁকি নিতে ইচ্ছুক সেটা বুঝুন। আপনাকে অবশ্যই আপনার ঝুঁকির মাত্রা বিবেচনা করতে হবে। আপনি যদি ঝুঁকি নিতে না চান তাহলে আপনি কম ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগে বিনিয়োগ করতে পারেন।
ধৈর্য ধরুন
শেয়ারে বিনিয়োগ করলে ধৈর্য ধরতে হবে সবার আগে। রাতারাতি ধনী হওয়ার স্বপ্ন আমরা অনেকেই দেখি। কিন্তু, বাস্তবের মাটিতে তা আদপে অসম্ভব। তাই শেয়ার বাজারে ধৈর্য ধরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে স্টকগুলিতে বিনিয়োগ করছেন সেগুলি সম্পর্কে ভালভাবে জানুন। পড়াশোনা করুন। ওঠাপড়ার উপর নজর রাখুন। বাজারের গতিবিধির উপর নজর রাখুন। তারপরই চূড়ান্ত কেনাবেচার সিদ্ধান্ত নিন।
বিঃ দ্রঃ – এটি একটি শেয়ার বাজার এবং মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ সম্পর্কিত শিক্ষামূলক প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য কখনই বিনিয়োগে উৎসাহিত করা বা মুনাফা কামানোর সহজ উপায় খুঁজে দেওয়া নয়। শেয়ার বাজারের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানানোই এই প্রতিবেদনের অন্যতম লক্ষ্য। উল্লেখ্য, শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ সর্বদাই ঝুঁকিুপূর্ণ।