Mutual Fund Investment: মাসে মাত্র ৫০০ টাকা জমিয়েও হতে পারেন কোটিপতি, কী করে?

Mutual Fund Investment: এই স্বপ্নপূরণই করতে পারে মিউচুয়াল ফান্ড। তবে এই ধরনের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে তিনটি জিনিস। ধরতে হবে ধৈর্য, ঠিক করতে হবে লক্ষ্য, একইসঙ্গে শেয়ার বাজার নিয়ে করতে হবে পড়াশোনা।

Mutual Fund Investment: মাসে মাত্র ৫০০ টাকা জমিয়েও হতে পারেন কোটিপতি, কী করে?
মাথায় রাখুন কিছু সহজ টিপস Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 30, 2023 | 8:11 AM

কলকাতা: অনেকেই বলেন ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন কী দেখা উচিত? কিন্তু, বর্তমানে এমন কিছু বিনিয়োগের দরজা রোজই খুলে যাচ্ছে মানুষের কাছে যেখানে নিম্ন মধ্যবিত্ত সংসারের ঘানি টেনেও লাখ কেন কোটি টাকা উপার্জনেরও স্বপ্ন দেখা যায়। মাসে মাত্র ৫০০ টাকা বিনিয়োগ করে কোটিপতি হওয়া সম্ভব। হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন। এই স্বপ্নপূরণই করতে পারে মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Fund)। তবে এই ধরনের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে তিনটি জিনিস। ধরতে হবে ধৈর্য, ঠিক করতে হবে লক্ষ্য, একইসঙ্গে শেয়ার বাজার নিয়ে করতে হবে পড়াশোনা। করতে হবে নিয়মমাফিক বিনিয়োগ। অর্থাৎ, আজ সামান্য লাভ দেখে তুলে নিলাম বিনিয়োগ করা রাশি, নিত্য কোনও প্রয়োজনে আর করলাম না দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ। তাহলে কিন্তু, বড় লাভ পাওয়া অসম্ভব। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। 

ধরা যাক কোনও এক ব্যক্তির বয়স ২০। এই বয়স থেকেই তিনি ৫০০ টাকা দিয়ে কোনও এক মিউচুয়াল ফান্ডে SIP শুরু করলেন। এবার ধরা যাক প্রতি বছরে চাকরি সূত্রে বা অন্য কোনওভাবে ওই ব্যক্তির উপার্জন বাড়ছে। ফলে ধরা যাক পরের বছর থেকে মাসে গড়ে আরও ১ হাজার করে অতিরিক্ত টাকা জামাতে তিনি শুরু করলেন। অর্থাৎ বছরে ১২ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ বাড়বে। প্রতিবছর এই উপায়েই বাড়তে থাকবে বিনিয়োগের পরিমাণ। অর্থাৎ, এ বছরে যদি ১২ মাসে ৬ হাজার টাকা তিনি জমান, পরের বছর ১৮ হাজার। পরের বছর ৩০ হাজার। এই বিনিয়োগের উপর ধরা যাক কেউ ন্যূনতম ১৫ শতাংশ রিটার্ন পাচ্ছেন। এই নিয়মেই এই ব্যক্তি ৬০ বছর পর্যন্ত বিনিয়োগ করে গেলেন। অর্থাৎ ৪০ বছর পর্যন্ত জমালেন টাকা। এতেই দেখা যাচ্ছে, ৬০ বছরের অবসরের সময় ওই ব্যক্তির হাতে থাকছে প্রায় ১৬ কোটি ১৯ লক্ষের বেশি টাকা। 

এবার কেউ যদি বিনিয়োগ শুরুর পরের বছর থেকে ১ হাজার টাকা প্রতি মাসে বাড়াতে সমর্থ হচ্ছেন না। ধরা যাক, তিনি মাত্র ৫০০ টাকা করে বাড়াতে পেরেছেন। তাও ৬০ বছরের অবসরকালীন সময়ে তাঁর কাছে থাকবে প্রায় ৯ কোটি টাকা। এবার কোনও ব্যক্তির ধরা যাক ২৫ বছর বয়স। কিন্তু, এই বয়স থেকে তিনি বিনিয়োগ শুরু করছেন। বিনিয়োগ শুরুর পরের বছর থেকে ১ হাজার টাকা প্রতি মাসে বাড়াতে সমর্থ হচ্ছেন না। ধরা যাক, তিনি মাত্র ৫০০ টাকা করে বাড়াতে পেরেছেন। সে ক্ষেত্রে ৩৫ বছর টাকা জমানোর পর তার কাছে থাকছে ৪ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা। এই অঙ্কে ৩০ বছর থেকে বিনিয়োগ শুরু করলে তাঁদের কাছে থাকছে ২ কোটি টাকা।

বিঃ দ্রঃ – এটি একটি শেয়ার বাজার এবং মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ সম্পর্কিত শিক্ষামূলক প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য কখনই বিনিয়োগে উৎসাহিত করা বা মুনাফা কামানোর সহজ উপায় খুঁজে দেওয়া নয়। শেয়ার বাজারের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানানোই এই প্রতিবেদনের অন্যতম লক্ষ্য।  উল্লেখ্য, শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ সর্বদাই ঝুঁকিুপূর্ণ।