Meghalaya TMC: ব্যবধান মাত্র ৭ ভোট, মমতার এক সময়ের সতীর্থের ছেলেকে হারিয়েই মেঘালয়ে খাতা খুলল তৃণমূল
Meghalaya TMC defeats : মেঘালয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দাদাকে পরাজিত করে শক্তি প্রদর্শন করল তৃণমূল কংগ্রেস। মমতার একসময়ের সতীর্থের ছেলে তিনি।
শিলং: মেঘালয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দাদাকে পরাজিত করে শক্তি প্রদর্শন করল তৃণমূল কংগ্রেস। দাদেংগ্রে কেন্দ্রে গত তিনবার ন্যাশনাল পিপলস পার্টির হয়ে জয়ী হয়েছিলেন জেমস পাংসাং সাংমা। তবে, এইবারের নির্বাচনে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার দাদাকে পরাজিত করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রূপা এম মারাক। যদিও ভোটের ব্যবধান মাত্র ৭। ক্ষমতা দখলের মতো জায়গায় যেতে না পারলেও, কিংবা কিংমেকার না হয়ে উঠতে পারলেও, মেঘালয়ে প্রধান বিরোধী শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে, ২০১৮ সালেও মেঘালয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তবে সেইবার তৃণমূলকে খালি হাতেই ফিরিয়ে ছিল মেঘালয়। সেই তুলনায় এবার উত্তর পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে বড় সাফল্য পেল তৃণমূল কংগ্রেস।
জানা গিয়েছে, মোট বৈধ ভোটের ৩৫.৩৮ শতাংশ বা ২৭,৭৪৬টি ভোট পেয়েছেন জেমস পাংসাং সাংমা। তাঁর থেকে মাত্র ৭টি ভোট বেশি পেয়ে আসনটি জিতে নেন তৃণমূলের রূপা এম মারাক। এই জের মধ্য দিয়েই মেঘালয়ে খাতা খোলে তৃণমূল কংগ্রেস। এখনও পর্যন্ত গণনা অনুযায়ী ৪টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল, আর এগিয়ে আছে আরও ১ আসনে। দাদেংগ্রে কেন্দ্রটি পশ্চিম গাঢ়ো পাহাড় জেলায় অবস্থিত। এই আসনে অন্যান্য প্রার্থীরা ছিলেন বিজেপির ব্রেইনিং আর মারাক, কংগ্রেসের চেস্টারফিল্ড সাংমা এবং রিপাবলিকাল পার্টি অব ইন্ডিয়ার উইটিজেন এন সাংমা। এনপিপি ইতিমধ্যে ১৯টি আসনে জয়ী হয়েছে আর এগিয়ে আছে আরও ৬টি আসনে। প্রধান প্রতিপক্ষ ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টি জিতেছে ১১টি আসনে।
প্রসঙ্গত, কনরাড সাংমা এবং জেমস সাংমার বাবা, পিএ সাংমা একসময় তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটেই সাংসদ হয়েছিলেন। ২০০৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ছিলেন মাত্র দুই জন – একজন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, অপরজন পিএ সাংমা। সেই সাংমার ছেলেকে পরাজিত করেই এবার মেঘালয়ে সাফল্যের পথে পা বাড়াল তৃণমূল কংগ্রেস।
২০১৮ সালে মাত্র ০.৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে বিজেপির ভোট ছিল ৯.৬ শতাংশ। এবার এখনও অবধি গণনা অনুযায়ী, তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ১৩.৭১ শতাংশ ভোট এবং বিজেপি পেয়েছে ৯.২৫ শতাংশ ভোট। বস্তুত, ২০১৮ সালের পর থেকে গত ৫ বছরে মেঘালয়ের রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। কংগ্রেস ভেঙে মুকুল সাংমা বেশ কয়েকজন বিধায়ক-সহ যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। সেই শক্তিক্ষয়ের ধাক্কা এখনও সামলাতে পারেনি হাত শিবির। ২০১৮ সলে রাজ্যে সবথেকে বেশি ভোট পেয়েছিল কংগ্রেস, ২৮.৫ শতাংশ। সেখান থেকে এইবার কংগ্রেসের ভোট প্রাপ্তি নেমে এসেছে ১৩.২৩ শতাংশে।