Temjen Along: ‘আমিও দেখি’, ‘সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন’ নাগা মন্ত্রীকে দরাজ সার্টিফিকেট প্রধানমন্ত্রীর

সোশ্যাল মিডিয়ার আলোচিত নাম মেঘালয়ের মন্ত্রী তথা রাজ্যের বিজেপি সভাপতি তেমজেন ইমনা অ্যালং।

Temjen Along: 'আমিও দেখি', 'সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন' নাগা মন্ত্রীকে দরাজ সার্টিফিকেট প্রধানমন্ত্রীর
নাগাল্যান্ডে নরেন্দ্র মোদী, নাগা মন্ত্রী তেমজেন ইমনা অ্যালং
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 24, 2023 | 4:49 PM

ডিমাপুর: জীবন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হোক কিংবা তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের কাহিনি, কিংবা মেঘালয় রাজ্যের সৌন্দর্য – বিভিন্ন বিষয়ে একের পর এক পোস্টের জেরে সোশ্যাল মিডিয়ার আলোচিত নাম নাগাল্যান্ডের মন্ত্রী তথা রাজ্যের বিজেপি সভাপতি তেমজেন ইমনা অ্যালং। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি), রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তেমজেন অ্যালং-এর প্রসঙ্গ টানেন মোদী। তাঁর মতে তেমজেন ইমনা অ্যালংয়ের মতামত সারা বিশ্বে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রকৃত প্রতিনিধিত্বকারী।

ডিমাপুরের সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের রাজ্য বিজেপির সভাপতি তেমনা ইমনা যা বলেন, তা সারা দেশে অনুরণিত হয়। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তিনি সুন্দরভাবে নাগাল্যান্ড এবং সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন। আমিও সবসময় তাঁর সমস্ত পোস্ট দেখার চেষ্টা করি। ” তাঁর রসবোধের জন্য নাগাল্যান্ডে প্রবল জনপ্রিয় তেমজেন অ্যালং। প্রধানমন্ত্রীর মুখে তাঁর সম্পর্কে এই প্রশংসা শুনে জোরালো করতালিতে ফেটে পড়ে সভায় উপস্থিত মানুষ।

দুদিন পরই, ২৭ ফেব্রুয়ারি মেঘালয়ের সঙ্গে সঙ্গে নাগাল্যান্ড রাজ্যেরও বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এখন প্রবল ব্যস্ত তেমজেন অ্যালং। গোটা নাগাল্যান্ড জুড়ে বিজেপির হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন তিনি। এদিন তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর সম্পূর্ণ ভাষণটি রিটুইট করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে তিনি আরও একটি টুইট করে উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর পা রাখার খবর জানিয়েছিলেন তিনি। টুইটে প্রধানমন্ত্রীকে ‘গুরুজি’ বলে সম্বোধন করেন নাগাল্যান্ডের মন্ত্রী। জানান, ‘গুরুজি’ রাজ্যে থাকায় তিনি অত্যন্ত খুশি সঙ্গে বিজেপির উত্তরীয় পরে নিজের হাসিমুখের একটি ছবিও পোস্ট করেন।

এদিন নাগাল্যান্ডের মাটি থেকে কংগ্রেসকে কড়া আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ডিমাপুরের সভায় তিনি দাবি করেন পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকারগুলি উত্তর-পূর্ব ভারতকে এটিএম হিসেবে ব্যবহার করেছে। অথচ, বিজেপি সরকার এই আটটি প্রান্তিক রাজ্যকে ‘অষ্টলক্ষ্মী’ অর্থাৎ দেবী লক্ষ্মীর আটটি রূপ হিসাবে দেখে। এই আট রাজ্যে শান্তি ও উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলেছে তাঁর সরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের জনগণকে অবিশ্বাস করে কোনও দেশ চালানো যায় না। তাদের সম্মান করতে হয়, তাদের সমস্যার সমাধান করতে হয়। এর আগে, উত্তর-পূর্বে বিভাজনের রাজনীতি চলত। আমরা তার জায়গায় ঐশ্বরিক শাসন স্থাপন করেছি। বিজেপি ধর্ম বা অঞ্চলের ভিত্তিতে মানুষে মানু।ষে ভেদাভেদ করে না।”